২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে BJP যোগ দিয়েছিলেন চন্দ্র। হাওড়ায় (Howrah) অমিত শাহের (Amit Shah) হাত থেকে তাঁকে পদ্ম ঝাণ্ডা নিতেও দেখা গিয়েছিল। এরপরই ২০১৬ বিধানসভা ভোটে তিনি ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে লড়েন। পরবর্তীকালে চন্দ্রকে রাজ্য BJP-র সহ-সভাপতির পদও দেওয়া হয়। কিন্তু শুরু থেকেই তাঁর সঙ্গে বনিবনা হয়নি বঙ্গ-BJP নেতৃত্বর। আনুষ্ঠানিক ভাবে BJP না ছাড়লেও ইদানীং তাঁর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের কার্যত কোনও সম্পর্কই নেই।
সোমবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে এক মঞ্চে। পরের দিনই চন্দ্রর মুখে শোনা গেল মমতার ভূয়ষী প্রশংসা। তাঁর ব্যাখ্যায়, “দেশে সাম্প্রাদায়িক রাজনীতি চলছে। বাংলায় এ সব চলে না। এটা আমি BJP নেতাদেরও জানিয়েছিলাম। নেতাজি সব ধর্মকে ঐক্যবদ্ধ আজাদ-হিন্দ-ফৌজ তৈরি করেছিলেন। এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিশা দেখিয়েছেন। কখনও দেখিনি তিনি ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করছেন।”
তবে BJP-র রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর কটাক্ষ, “সুভাষচন্দ্র বসু শুধু ফরওয়ার্ড ব্লকের বা পশ্চিমবঙ্গের নন। তিনি ভারতের, গোটা পৃথিবীর। তাঁকে নিয়ে দোকানদারি মানুষ বরদাস্ত করে না। কে অনীতা পাফ, কে চন্দ্র বসু? দেশের সুভাষপ্রেমীদের কাছে এঁদের অস্তিত্বের কোনও স্বীকৃতি নেই!”