পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক রামচন্দ্র হাইস্কুলের ওয়ার্ক এডুকেশন বিষয়ের শিক্ষক। বাড়ি পতিরামের পশ্চিম জগন্নাথপুর গ্রামে। ২০১৪ সাল থেকে ওই শিক্ষক স্কুলের সংলগ্ন এলাকায় স্কুলের হস্টেলের সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ, দীর্ঘদিন হস্টেলে দায়িত্ব থাকার সুবাদেই নানান ধরনের প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। ওই হস্টেলে প্রায় ৭৫ জন ছাত্র রয়েছে। একেকজন ছাত্রদের অ্যাকাউন্টে আদিবাসী স্টাইপেন্ডের (Stipend) এক বছরে ১০ হাজার টাকা ঢোকে। অভিভাবকদের অভিযোগ, সেই ছাত্রদের সই জাল করে ভুয়ো ছাত্রদের ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে টাকা আত্মসাৎ করতেন ওই শিক্ষক। এছাড়াও ওই শিক্ষক নানা জায়গায় নানা ধরনের ভুয়ো ও জাল সই ব্যবহার করতেন। এমনকি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সিল ও সই জালিয়াতি করে কাজে লাগাতেন। এদিকে ছাত্রদের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেও না পাওয়ায় অনেক অভিভাবকরা স্কুলকে বিষয়টি জানান। এরপরেই স্কুলের নজরে আসে বিষয়টি। অভিযোগ, প্রায় ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন ওই শিক্ষক।
এরপর অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরেই বেপাত্তা ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। স্কুলেও গরহাজির ছিলেন। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অনেকের কাছেই চাকরি ও নানাভাবে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন ওই শিক্ষক। এই বিষয়ে তপনের রামচন্দ্র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শুভজিৎ সাহা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ওই শিক্ষক হস্টেলের সুপারের দায়িত্বে ছিলেন। শুনেছি ওই শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছেন। বিশদে জানার পর এই বিষয়ে মন্তব্য করব”। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।