আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল জানিয়েছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বঙ্গীয় সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ওয়াইজুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সমস্ত খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে জানাবেন। গত বছর মেলাতে এসে শুভাপ্রসন্ন ও তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। সকলেই অনুরোধ করেছিলেন রামমোহন রায়ের নামে খানাকুলে বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য। সেটি না হলেও রামমোহনের জন্মভিটাকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সমস্ত কাণ্ড করে সব কিছু ভুণ্ডুল করে দেওয়ার চেষ্টা হল।
অন্যদিকে, রামমোহন গবেষক দেবাশিস শেঠ বলছেন, “আমি বা মইদুল সাংস্কৃতিক জগতের লোক। সমস্ত গণ্ডগোল হয়েছে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে। সবটাই হয়েছে এই মেলার সম্পাদক মেহেবুর রহমান ও মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে। এই বিষয়ে তাঁর কোনও মন্তব্য নেই।” অধ্যাপক মইদুল ইসলাম অবশ্য বলছেন, বেশ কিছু মাতাল মিলে এরকম একটি লজ্জাজনক ঘটনা ঘটাল। প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে শাসকদলের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত তাঁরা উপলব্ধি করবেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খানাকুল বিডিওর দফতরে মেহেবুর রহমান সহ নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছেন।
পুরো ঘটনা নিয়ে খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলছেন, “তৃণমূল যে মোদো মাতাল আর মস্তানদের দল তা আজ সারা ভারতবর্ষ দেখবে। ২৫ টাকা পাউচের রাজনীতি করছে তৃণমূল। তৃণমুলের অসভ্যতার কারণে দেশের মানুষের কাছে খানাকুলের মাথা হেঁট হয়ে গেল। কিছু অসভ্য লোকের জন্য রামমোহনের পুণ্যভূমি কলুষিত হল। আসলে এই মেলাটা হয় টাকা ভাগ-বাটোয়ারার জন্য।