তিনি ভগৎ সিং, রাজগুরু, সুখদেব, সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো বীরদের আত্মত্যাগের কাহিনী দ্বারা অনুপ্রাণিত। তসবির বলেন, “আমি তাঁদের সকলের জীবনী অধ্যয়ন করেছি। এই সমস্ত বীরগণ দেশবাসীর উন্নতির জন্য তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্যকে সম্পূর্ণ রূপে বিসর্জন দিয়েছিলেন।” তাঁর স্বপ্ন ছিল স্বাধীন ভারতে মানুষ সুশৃঙ্খল, শিক্ষিত এবং মর্যাদা পূর্ণ থাকবে। নিজের ভাষা, সংস্কৃতি, চিন্তাভাবনা নিয়ে গর্ব করতে শিখুন। সম্ভাব্য সব দেশীয় জিনিস গ্রহণ করুন। তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের দেশ নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে পড়েছে। মানুষ অন্য মানুষের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সর্বত্র লুটপাট চলছে। দেশবাসীকে মনে রাখতে হবে, আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা মূল্যবান।”
তসবীর ফোগাট জানান, আমাদের পূর্বপুরুষরা বছরের পর বছর ধরে ব্রিটিশদের অত্যাচার সহ্য করেছেন। বীর শহীদদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা স্বাধীন ভারতে বসবাসের সৌভাগ্য পেয়েছি। বর্তমানে দেশবাসী আবারও দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হচ্ছে। দেশের প্রতি প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব বোঝা উচিত। নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে হবে। আমাদের সকলের সংহতি দিয়েই আমরা আমাদের শহীদদের স্বপ্নের ভারতে পরিণত করতে পারব। তবে মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করাটা তাঁর একটা আত্মত্যাগ বলেন জানান তিনি। তসবীর বলেন, “যতদিন আমার শরীরে প্রাণ থাকবে ততদিন দেশপ্রেমের বার্তা নিয়ে দেশভ্রমণ করে যাব সাইকেল নিয়েই।” প্রসঙ্গত, ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সারা দেশ জুড়েই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। কলকাতার রাজপথেও কুচকাওয়াজের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে।