পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা চলকালানীন অমর্ত্য সেন বলেন, ‘অনেকেই আমাকে পছন্দ করেন না। তারাও এর পেছনে থাকতে পারে। আমার বাড়ির কিছুটা অংশ বিশ্বভারতীর লিজ নেওয়া জমি এবং পরবর্তী বাকি অংশটা কিনে নেওয়া হয়েছে। আগেও যেমন আইনগতভাবে উত্তর দেওয়া হয়েছিল, একই ভাবে এবারও উত্তর দেওয়া হবে বলে।’
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘যা শুনছি আমি তাতে খুবই বিমর্ষ হয়ে পড়ছি। এটা খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। কর্তৃপক্ষ কেন বিষয়গুলি নিয়ে ভাবছে না, বুঝতে পারছি না। কেউ যদি আমার জমি-বাড়িকে নিজের বলে দাবি করে, তবে তো আর বলার মতো কিছু নেই। আমি তো উপাচার্যের বাড়িতে গিয়ে একই কথা বলতে পারতাম। কিন্তু আমি সেকথা বলব না। উনি যে ব্যবহার করেন, অন্য কেউ সেই ব্যবহার করবে না। আমার আদালতে যাওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই। আমার উকিলের চিঠি আগে গিয়েছে। ভবিষ্যতে আবার যাবে।’
সম্প্রতি জমি দখলের অভিযোগ তুলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে ফের চিঠি পাঠানো হয়। বিশ্বভারতীর এস্টেট অফিসের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার জমি ফেরতের কথা বলে অমর্ত্য সেনকে চিঠি পাঠান। এই ঘটনার পর গোটা রাজ্যজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অর্থনীতিবিদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে চিঠির উত্তর লিখিতভাবেই দেওয়া হবে। চিঠিতে কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, জমি জরিপের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করেছেন অধ্যাপক সেন। তবে বিশ্বভারতীর তরফে নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ আগেও আনা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম না করে তাঁকে ‘জমি চোর’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এই ঘটনা আগামী দিনে কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।