এদিন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “ছাড় পাওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। পকসো আইন (Pocso Act) যেহেতু জামিন অযোগ্য, সেই কারণে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা কোনওভাবেই যাতে জামিন না পায়, পুলিশকে সেই বিষয়টি দেখার জন্য আমি বলব।” এদিন সকালে সুদেষ্ণা রায় (Sudehsna Roy) মৃত ব্যক্তির বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পাশে থাকার বার্তা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন প্রতিনিধি।
এই বিষয়ে সুদেষ্ণা রায় আরও বলেন, “এই পরিবারটি যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেটি দেখার পাশাপাশি মেয়েটি যাতে কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন স্কলারশিপ পায় সেটাও দেখা হবে। এছাড়াও আমি শুনেছি ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে এর আগেও এলাকার অন্যান্য মেয়েদের ইভটিজিং করার অভিযোগ আছে।” শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন (Child Protection Commission Chairperson) জানান, “আমি এও শুনেছি এখানে অনেক চোলাই মদের ঠেক চলে। অবিলম্বে এইসব ঠেক বন্ধ করার জন্য আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলব। আমি চাই দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক এবং আমার বিশ্বাস ওদের শাস্তি হবেই।”
কথা প্রসঙ্গেই এই এলাকার রাস্তায় আলো না থাকার অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুদেষ্ণা রায় বলেন, “আমি এখানে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি দেখার জন্য এসেছি। তবে রাস্তায় আলো না থাকার বিষয়টিও খুব উদ্বেগজনক। আমি সংশ্লিষ্ট মহলকে এই বিষয়টি জানাবো। তাঁরা নিশ্চয়ই এটি খতিয়ে দেখবেন।”
প্রসঙ্গত, শ্যামপুরকাণ্ডে মূল তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নিগৃহীতার। ধৃত তিন জনের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাতেও শান্ত হননি এলাকাবাসীরা। মাঝে মধ্যেই তেতে উঠছে এলাকা। দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ এখন দাবানলের চেহারা নিয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, আগেও তাঁরা দুষ্কর্ম করেছে। কিন্তু কোনও এক বিশেষ প্রভাবে জেলের বাইরে থেকেছে। তাই এই মুহূর্তে গ্রামের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে অভিযুক্ত প্রত্যেকের কড়া শাস্তির পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে সব মহল থেকে।