ময়নাগুড়ির বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে অসহায়ভাবে দিন কাটান মঙ্গলা। সরকারি শিল্পী হিসেবে অনুষ্ঠান করে প্রতিটিতকে ১ হাজার টাকা করে পেতেন। কিন্তু, করোনা লকডাউনের সময় যাবতীয় অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে উপার্জন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, গলা আর আগের মতো সাধ দেয় না তাই এখন গান গেয়ে উপার্জন করাও খুবই কঠিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের শিল্পী ধুমাকান্ত রায়ের কাছ থেকে সারিন্দা বাজানোর তালিম নিয়েছিলেন মঙ্গলা। ধুমাকান্তের কাছ থেকে সারিন্দা কিনে বাজাতে শুরু করেন। পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার কথা জানার পর তিনি জানিয়েছেন এই সম্মান পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। ১০২ বছর বয়সী শিল্পীর এখন একটাই ইচ্ছে, কোনও ধরনের অসুখ-বিসুখ ছাড়া দিন কাটানো।
পুরস্কার পেলেও ন্যূনতম সুবিধাটুকু না মেলার অভিযোগ জানিয়েছেন মঙ্গলা। তাঁর গলায় ধরা পড়েছে বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভ। তিনি বলেন, ‘পুরস্কার পেলেও সরকারের তরফে আর সেরম কিছুই পাইনি। বার্ধক্য ভাতাও পেতাম না। সংবাদমাধ্যমে সেই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর আধিকারিকরা আমার বাড়িতে আসেন। সবাইভাবে আমি খুব বড়লোক আমার টাকার কোনও প্রয়োজন নেই। সারিন্দা বাজিয়েই আমার উপার্জন। কিন্তু, এখন বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলাটাও আর আগের মতো নেই। তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে বেশ কিছু টাকা পেয়েছি। এটা ছাড়া আর কিছুই পাইনি। আমার কাছে সারিন্দা রয়েছে, এতেই আমি খুশি।’
