Padma Awards 2023 : পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত সারিন্দা শিল্পী মঙ্গলাকান্তি রায়, উঠে এল ছত্রে ছত্রে লড়াইয়ের কাহিনি – jalpaiguri mangala kanti roy got padma shree awards on the occasion of republic day


West Bengal Local News: জলপাইগুড়ি জেলায় ময়নাগুড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম ধওলাগুড়ি। সেখানেই থাকেন ১০২ বছরের সারিন্দা বাদক মঙ্গলাকান্ত রায় (Mangala Kanta Roy)। স্ত্রী চম্পা রায়কে নিয়ে অতি কষ্টে চলে তাদের দিন গুজরান। তিন ছেলে ও চার মেয়ে থাকলেও স্ত্রীকে নিয়ে একাই থাকেন মংলা। পাঁচশো বছরের বেশি পুরনো বাদ্যযন্ত্র সারিন্দা বাজানোয় অত্যন্ত পারদর্শী মঙ্গলাকান্তি। ২০১৭ সালে মঙ্গলাকান্তিকে ‘বঙ্গরত্ন’ সম্মানে ভূষিত করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অন্যতম সেরা পুরস্কার পাওয়ার পর সরকারি শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সারিন্দা বাজিয়ে সামান্য টাকা উপার্জনের সুযোগ মিললেও করোনা মহামারি তাঁর জীবন থেকে সেটাও কেড়ে নিয়েছে। ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে এহেন মঙ্গলাকে পদ্ম সম্মানে ভূষিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পদ্মশ্রী সম্মান পেয়ে খুশি এই শিল্পী।

Padma Awards 2023 : মরণোত্তর সম্মান, ORS-এর জনক দিলীপ মহালনবিশকে পদ্মবিভূষণ
ময়নাগুড়ির বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে অসহায়ভাবে দিন কাটান মঙ্গলা। সরকারি শিল্পী হিসেবে অনুষ্ঠান করে প্রতিটিতকে ১ হাজার টাকা করে পেতেন। কিন্তু, করোনা লকডাউনের সময় যাবতীয় অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে উপার্জন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, গলা আর আগের মতো সাধ দেয় না তাই এখন গান গেয়ে উপার্জন করাও খুবই কঠিন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের শিল্পী ধুমাকান্ত রায়ের কাছ থেকে সারিন্দা বাজানোর তালিম নিয়েছিলেন মঙ্গলা। ধুমাকান্তের কাছ থেকে সারিন্দা কিনে বাজাতে শুরু করেন। পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার কথা জানার পর তিনি জানিয়েছেন এই সম্মান পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। ১০২ বছর বয়সী শিল্পীর এখন একটাই ইচ্ছে, কোনও ধরনের অসুখ-বিসুখ ছাড়া দিন কাটানো।

Suvendu Adhikari : ‘নতুন রাজ্যপালকে ম্যানেজে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী’, তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর
পুরস্কার পেলেও ন্যূনতম সুবিধাটুকু না মেলার অভিযোগ জানিয়েছেন মঙ্গলা। তাঁর গলায় ধরা পড়েছে বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভ। তিনি বলেন, ‘পুরস্কার পেলেও সরকারের তরফে আর সেরম কিছুই পাইনি। বার্ধক্য ভাতাও পেতাম না। সংবাদমাধ্যমে সেই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর আধিকারিকরা আমার বাড়িতে আসেন। সবাইভাবে আমি খুব বড়লোক আমার টাকার কোনও প্রয়োজন নেই। সারিন্দা বাজিয়েই আমার উপার্জন। কিন্তু, এখন বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলাটাও আর আগের মতো নেই। তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে বেশ কিছু টাকা পেয়েছি। এটা ছাড়া আর কিছুই পাইনি। আমার কাছে সারিন্দা রয়েছে, এতেই আমি খুশি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *