প্রীতিকণার সংগ্রামের কাহিনি
সারাজীবনের কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন সোনারপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রীতিকনা গোস্বামী। বাবার মৃত্যুতে মাত্র ১০ বছর বয়সেই অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন তিনি। মা এবং পাঁচ বোনের সংসারে নেমে আসে চরম দারিদ্র্য। জ্যেঠু তাঁকে নিয়ে চলে যান তাঁর বাড়িতে। সেখানেই মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা। এর সঙ্গে সঙ্গেই ছোটবেলা থেকে সেলাইয়ের কাজেও তাঁর হাতেখড়ি হয়। বান্ধবী রমা দাসের সেলাইয়ের কাজ তাঁকে উৎসাহ দিয়েছিল। রমা সেলাইয়ের কাজের অর্ডার পেতেন। সেই সূত্র ধরেই পীতাম্বরি নামে একটি সংস্থা প্রীতিকণাকেও সেলাইয়ের কাজের অর্ডার দেয়। এরমধ্যেই ১৯৭৭ সালে বিয়ে হয়ে যায় প্রীতিকণার। বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যান তিনি। সিটি কলেজে ভর্তি হন। তবে সন্তানসম্ভবা হয়ে যাওয়ায় আর পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। যদিও সেলাইয়ের কাজ থেমে থাকেনি।
১৯৯০ সালে ওয়েস্টবেঙ্গল ক্রাফট কাউন্সিল থেকে নকশিকাঁথার কাজের অর্ডার আসে। সেই থেকেই শুরু। কাজ এতটাই ভালো হয় পরের বছরই নকশিকাঁথার কাজ শেখানোর একটি বিভাগ খোলা হয় ওই কাউন্সিলে। যার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রীতিকণাকে। ২০০১ সালে তিনি তাঁর কাজের জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল কালাম আজাদের কাছ থেকে জাতীয় পুরষ্কার পান। এর আগে তাঁর কাকা পণ্ডিত নিখিল ঘোষ সংগীত বিভাগে পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন।
কী প্রতিক্রিয়া প্রীতিকণার?
এই সময় ডিজিটালের কাছে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন পদ্মশ্রী প্রীতিকণা গোস্বামী। তিনি বলেন, “আমি যে এতকাল কষ্ট করেছি, সেই কষ্টেরই ফসল পেলাম। ভগবান আমায় যেন আশীর্বাদ করলেন। আগামীদিনে এই কাজ আমি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। আমার যতদিন ক্ষমতায় কুলবে ততদিন করে যাব।