তিনি ৩৬৫ দিনের রাজনীতিবিদ। তাই সরস্বতী পুজোর এই বিশেষ দিনেও রাজনীতি বাদ যাবে এমটা তো হয় না। নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে নিশানা করেন সুকান্ত। তবে ব্যস্ত স্বামীকে কাছে পেয়ে খুশি বিজেপি সাংসদের স্ত্রী। তিনি জানালেন তাদের জেষ্ঠ কন্যা সন্তানের হাতেখড়িও সুকান্ত নিজে হাতে করিয়েছেন।
স্বামী রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত রাজনীতিবিদ। প্রত্যেকদিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান না। এহেন হেভিওয়েট রাজনীতিবিদের স্ত্রী কোয়েল মজুমদারও সরস্বতীর পুজোর দিন স্বামীকে কাছে পেয়ে অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন, ‘উনি সবসময় সময় দিতে পারেন না। আমি ওনাকে আগে থেকেই বলে রেখেছিলাম, বড় মেয়ের হাতেখড়ি তোমার হাতেই হয়েছে। ছোট মেয়ের হাতেখড়িও তোমাকে দিতে হবে। তাই কষ্ট করে একটু সময় বের করতে বলেছিলাম। উনি কথা রেখেছেন মেয়েদের কারণে। আমি খুব খুশি। আপনারা আমার মেয়েকে আশীর্বাদ করুন সে যেন ভাল মানুষ হতে পারে।’
পরিবারের সঙ্গে সরস্বতীপুজো কাটিয়ে দৃশ্যতই খুশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘মায়ের কাছে বলব মা সকলে বিদ্যাবুদ্ধি দিন। যাঁদের দুর্বুদ্ধি হয়েছে তাদের সুবুদ্ধি দিন মা। যেসব ছেলেমেয়েরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে রাস্তায় বসে রয়েছেন, সরস্বতী মায়ের কাছে তাদের জন্যও আশীর্বাদ চেয়েছি। আমি প্রত্যেক বছরই নিজে সরস্বতী পুজোর করার চেষ্টা করি। আজ মেয়ের হাতেখড়ি ছিল, সেই কারণে এই দিনটি বিশেষ। আজকে বাড়িতে বেশিরভাগ সময় দেব। কয়েকটি স্কুলে আমন্ত্রণ রয়েছে, সেখান গিয়ে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলব। রাজনীতির লোকদের কোনও ছুটি নেই। ৩৬৫ দিন আমরা মানুষের কাজ করি।’