Toton Biswas : হুগলির ত্রাস টোটনের ডেরার দুয়ারে পুলিশ! ‘টেনিয়া’-দের দৌরাত্ম্য রোখার বার্তা কমিশনারের – new police camp made in hooghly rabindranagar the area of notorious criminal toton biswas


West Bengal Local News: টোটন বিশ্বাস। এই নামটা কাঁপুনি ধরানোর জন্য যথেষ্ট। কয়েকদিন আগেই হুগলির চুঁচুড়া এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতো টোটন-বাহিনী। হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতি টোটনের এতটাই প্রতিপত্তি, যে তাঁকে সহজে ছুঁতে পারত না পুলিশও। কিন্তু, টোটন এখন জেলবন্দি। আর তাঁর গড় বলে পরিচিত চুঁচুড়া রবীন্দ্র নগর এলাকা স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করল পুলিশ। গত বছর আগস্ট মাসে ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে তাঁকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী। পেটে গুলি লাগলেও প্রাণে বেঁচে যায় টোটন। এলাকায় তাঁর প্রভাব এতটাই ছিল যে পুলিশ তটস্থ থাকে সব সময়। সেই টোটনের খাস তালুকেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোদালিয়া পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করেছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ। আজ সেই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার অমিত জভালগি। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

Maoist Posters : কম্পিউটার সেন্টারে উদ্ধার মাওবাদী পোস্টার! মেদিনীপুরের চাঁদরায় আতঙ্ক
একাধিক খুন তোলাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত টোটন বর্তমানে জেল বন্দি থাকলেও তাঁর দলবল সক্রিয় রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। টোটনকে রবীন্দ্রনগরের বেতাজ বাদশাও বলছেন অনেকে। এর আগে তার ডেরায় অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ।রবীন্দ্র নগরে মূলত পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষের বাস। টোটনকে তাঁরা যমদূতের চেয়েও বেশি ভয় করেন। কোনও ঘটনা ঘটলে চুঁচুড়া থানা থেকে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই গা ঢাকা দেয় টোটোনের দলবল। সেই কারণেই এখানে নতুন পুলিশ ক্যাম্প তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Police Barrack Shooting: সহকর্মীর ‘গুলি’-তে জখম SI, নিউ টাউনের পুলিশ ব্যারাকে গুলি চলার ঘটনায় বাড়ছে রহস্য
আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানুষের আস্থা ফেরাতে, সাহস যোগাতে প্রয়োজন ছিল রবীন্দ্র নগরে একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের। রবীন্দ্রনগরে পরিত্যক্ত মঙ্গল পান্ডে পুলিশ আবাসনে এই নতুন ক্যাম্পটি তৈরি করা হয়েছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে এই মুহূর্তে ক্যাম্পে একজন এস আই, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর, ছয়জন কনস্টেবল, চারজন সিভিক থাকবেন আপতত। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘রবীন্দ্রনগর ভুল কারণে পরিচিতি পেয়েছে। এলাকায় অনেক ভালো মানুষ শিক্ষিত মানুষ থাকেন।তাই মানুষের পাশে থাকা তাদের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য।’ ক্যাম্প উদ্বোধনের পর স্থানীয় প্রবীণদের শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত ও ছাত্র-ছাত্রীদের ডিকশনারি দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন পরিষেবা পাবেন। প্রজাতন্ত্র দিবসে চন্দননগর পুলিশের পক্ষ থেকে অনলাইন পরিষেবার সূচনা করা হয়। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এখন থেকে কিছু খোয়া গেলে ওয়েবসাইট থেকে ই-জিডি করা যাবে। পুলিশ ক্লিয়ারিং সার্টিফিকেট ও আগ্নেয়াস্ত্র পাবার জন্য আবেদন করা যাবে বলে জানিয়ছেন কমিশনার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *