‘হাতেখড়ি’-র পর মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই রাজ্যপাল ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দেওয়ায় এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গত কয়েক বছর ধরেই ‘জয় বাংলা’-কে রাজনৈতিক স্লোগানের মতো করে ব্যবহার করে আসছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সেই ধ্বনি কেন হঠাৎ শোনা গেল রাজ্যপালের গলায়? যদিও এই বিতর্ককে আমল দিতে নারাজ পদ্ম শিবিরের একাংশ। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার কথায়, “জয় বাংলা কোনও রাজনৈতিক স্লোগান নয়। যে কেউ এই ধ্বনি দিতে পারেন।” উল্লেখ্য, ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই স্লোগানের বহুল ব্যবহার দেখা গিয়েছিল। রাজ্যের শাসক দল এই স্লোগান ব্যবহার করায় এই নিয়ে আর আগে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে BJP-কে।
এদিন রাজভবনের অনুষ্ঠানে ডক্টরেট উপাধি পাওয়া রাজ্যপালের হাতে খড়ি দেন এক নাবালিকা। স্লেট পেন্সিল নিয়ে রাজ্যপালকে ‘অ আ ক খ’ লেখা শেখায় সে। Mother শব্দের অর্থ মা ও Earth শব্দের অর্থ ভূমি – এটাও এদিনই শিখে নেন রাজ্যপাল। বাংলা ভাষা শিক্ষার সূচনা করে প্রথম শিক্ষাগুরুর হাতে গুরুদক্ষিণা তুলে দেন সি ভি আনন্দ বোস। এদিন তাঁর হাতেখড়ি হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মালয়ালম বলে সবাইকে চমকে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন রাজ্যপালের বাংলা ভাষা শেখার ইচ্ছাকে স্বাগত জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের BJP বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না তিন। রাজ্যপালের হাতেখড়ির এই অনুষ্ঠানকে রাজ্য সরকার রাজনৈতিকভাবে অপব্যহার করছে বলে অভিযোগও করেন তিনি।