এদিন সিউড়ির (Suri) আলুন্দা পঞ্চায়েতের জুনিদপুর গ্রামে যান তৃনমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক। বিধায়কের কাছে গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানান যে, আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির জন্য অনেকের থেকে ‘কাটমানি’ নিয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়েও কেউ কেউ অভিযোগ করেন। কেউ কেউ জব কার্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন। বিধায়ক তাঁদের বলেন তাঁর অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানাতে। গ্রামবাসীরা বলেন, অফিসে অভিযোগ জানাতে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। এর পর এক গ্রামবাসী কিছু বলতে গেলেই তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই সময় বিধায়ক পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্লোগানের ঠেলায় বিধায়কের কাছে অনেকেই অভিযোগ জানাতে পারেননি।
এই বিষয়ে এক গ্রামবাসী জানান, “আমরা কেউই বিধায়ককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ বা তাঁকে অপদস্থ করার কোনোরকম চেষ্টা করিনি। তাঁকে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে গিয়েছিলাম মাত্র। কিন্তু তাঁর সঙ্গে থাকা কিছু কর্মী এমন স্লোগান শুরু করলেন যে আমরা সেরকম কিছু বলতেই পারিনি”। পরে বিধায়ক বলেন, “এখানে কোনও ক্ষোভ নেই। কিছু সমস্যা আছে সেই সমস্যার কথাই বলতে এসেছিলেন। এই গ্রামের সবাই তৃণমূল কংগ্রেস করে। ওঁরা তৃণমূল কংগ্রেস ছিল তৃণমূলেই থাকবে। যদি কেউ দুর্নীতি করে থাকে তবে দল তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে”। বিক্ষোভকারীদের দাবি তারাও তৃণমূল কংগ্রেস করেন। এখন পঞ্চায়েত প্রধান নিজের অপকর্ম ঢাকতে মিথ্যা কথা বলছেন।