সেই সঙ্গে তাঁর আরও কটাক্ষ, “ভালই হল রাজ্যপাল বাংলা শেখার আগে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মালয়ালাম শিখে গেলেন। এটা রাজ্যপালের বড় একটা কৃতিত্বের ব্যাপার”। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের ব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যদি সরকার এই স্লোগান দিতে পারে তাহলে উনি কেন দিতে পারেন না। উনি সরকারের সঙ্গে আছেন। মাই গভর্নমেন্ট, এটা ওনাকে বলতে হয় বিধানসভাতে”। গতকাল রাজ্যপালের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েও যাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বরং রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে রাজ্যপালের এই হাতেখড়ি অনুষ্ঠান তিনিও মেনে নিতে পারেননি। প্রকাশ্যেই এই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামের BJP বিধায়ককে। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমার বক্তব্য বয়কট বা কে কোথায় যাবে না যাবে তা অন্য জিনিস। রাজ্যপালের পদ খুব উঁচু পদ, সাংবিধানিক পদ। এসব ছোটখাটো জিনিষের ভিতরে না যাওয়া উচিত। ওনার দুনিয়ার অনেক জ্ঞান আছে। উনি বাংলায় একসময় সরকারি চাকরিতে এসেছিলেন। হয়তো বাংলা কমবেশি জানেন। আমাদের দেশে বহু লোক বহু ভাষা জানেন। তার জন্য অনুষ্ঠান করার দরকার হয় না”।
এছাড়াও এদিন দিলীপ কথা বলেছেন অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) নিয়েও। তিনি বলেন, “অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) বাঙালির কাছে একটা উদাহরণ। তার বিরুদ্ধে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ কি সম্মানজনক? সত্যিই যদি জমি নিয়ে থাকেন তাহলে ছেড়ে দেওয়া উচিত। এত মোহ কেন”? এই প্রশ্নই তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে দিলীপ প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর নোবেল পাওয়া নিয়েই। দিলীপের বক্তব্য, “অর্থনীতিতে কোনও নোবেল ছিল না। ফলে উনি কোনও নোবেল পুরস্কার পাননি। নোবেলের সমান একটি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে অমর্ত্য সেনকে”।