পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে রবি রায় নামের ওই যুবককে গলার নলি কেটে পেটে কাচের বোতল ঢুকিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, এলাকায় প্রকাশ্যে মদ খাওয়া ও জুয়ার প্রতিবাদ করার জন্য এই খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ দাবি করেছে পুরনো শত্রুতার জন্য এই যুবককে খুন করা হয়েছে। শুক্রবরা সকালে স্থানীয় একটি মন্দিরের পাশ থেকে রবির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাস্তায় চাপ চাপ রক্তের দাগ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদাদের দাবি, কালীপুজোর সময় প্রকাশ্যে মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করছেন।
মৃতের জামাইবাবু অজয় রায় এই খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হওয়া অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করতেন আমার শ্যালক। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দু’জন অতীতে প্রতিশোধ নেওয়া হুমকি দিয়েছিল। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকলেও থাকতে পারে। এই ঘটনার পিছনে বড় কোনও মাথা আছে। জুয়ার ঠেকের পাশাপাশি প্রকাশ্যে মদ খাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন আমার শ্যালক। আমার শ্যালক বলত রাস্তার মধ্য মদ খেও না। আমার শ্যালক একজনকে ছাড়তে গিয়েছে। খাবার নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি দেখে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে শিব নামে একজন এলাকায় দুষ্কৃতী বলে পরিচিত। অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করার জন্যই আমার শ্যালককে খুন করা হয়েছে।’
একের পর এক প্রতিবাদী খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে হাওড়া আইনশৃঙ্খলা ও নাগরিক নিরাপত্তা। সম্প্রতি শ্যামপুরে মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করা হয়। মেয়ের সম্মানহানি রুখতে বাবা প্রতিবাদ করায় চোলাই ঠেকের মালিক সহ একাধিক দুষ্কৃতী তাঁকে ব্যাপক মারধরন করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। তারপর হাওড়াতে আরও এক খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।