অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রাও আজ থেকে বাড়তে পারে। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিনে দু থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সেখানেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হবে বলে জানা গিয়েছে। বিহার সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা কুয়াশা সম্ভাবনা। সপ্তাহের শেষ দিকে পার্বত্য এলাকার আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে উত্তরবঙ্গের। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পাস করার সময় দার্জিলিং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় এবং সিকিমে খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা।
কলকাতার তাপমাত্রা
কলকাতায় সকালে হালকা কুয়াশা থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তিলোত্তমায় দিনে ও রাতে শীত অনুভূত হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে জানা গিয়েছে। দিনের তাপমাত্রার নিরিখে গত 10 বছরের মধ্যে কাল উষ্ণতম সরস্বতী পুজো ছিল। গোদের উপর বিষ ফোঁড়া বাতাসে ৯২ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে সরস্বতী পুজোয় শাড়ি বা পাঞ্জাবি পরে ঘাম ঝড়েছে স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়াদের।
কেন ঝিমিয়ে পড়েছে শীত?
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই শীতের এই দূরাবস্থা। উত্তর-পশ্চিম ভারতেও কিছুটা বেড়েছে তাপমাত্রা। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝাটি ক্রমশ ধীরগতিতে পূর্ব ভারতের দিকে এগোচ্ছে। এর ঠিক পেছনেই আরো একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে আজ দুপুরে। দ্বিতীয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে আছে দুটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। একটি রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকায়। অপরটি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু ও সংলগ্ন এলাকায়। একটি অক্ষরেখা রয়েছে যেটি উত্তর-পূর্ব আরব সাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে কোনোভাবেই দক্ষিণবঙ্গে শীতল বাতাস ঢোকার রাস্তা নেই। উল্টে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে একটু একটু করে বাড়ছে দখিনা হাওয়ার প্রভাব।