হাশমি চক থেকে কিছুটা দূরে হিলকার্ট রোডে একটি সোনার দোকানে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিল্ডিংয়ের একতলায় সোনার দোকানটি রয়েছে। বিল্ডিংয়ের একপাশে শুক্রবার সকালে দড়ি ও মাফলার ঝুলতে দেখা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান এই মাফলায় বেয়ে দোতলায় উঠে চোরের দল। এরপর গ্যাস কাটার দিয়ে গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে। সোনার দোকানের পেছন দিয়ে দোকানটিতে ঢুকে সোনার দোকানের অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এই চুরির পিছনে বেশ কয়েকজন রয়েছে বলে প্রায় নিশ্চিত পুলিশ আধিকারিকরা। দোকানে সিসিটিভি লাগানো ছিল। কিন্তু চোরেরা তা খুলে নিয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার সকালে খোলেন কর্মীরা। দোকানে ঢোকার পর তাদের চোখে পড় যে সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। এরপর দেখা যায় সিসিটিভি এর ডিভিআর নেই। তখনই বুঝতে পারেন চুরি হয়েছে। দোকান মালিক ব্যক্তিগত কাজে দার্জিলিঙে ছিলেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দোকানে আসেন তিনি। দোকানের কর্মীরা শিলিগুড়ি থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দোকান কর্মী ও মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও সোনার দোকানের লকার ভাঙার চেষ্টা করলেও তা ভাঙতে পারেনি। যদিও কতো টাকা ও সোনা চুরি গিয়েছে তা জানাতে চাননি দোকান মালিক।
দোকান মালিক আকাশ গুপ্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে দোকান বন্ধ ছিল। সেই সুযোগেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। কর্মীরা ফোন করে চুরির কথা জানিয়েছে। পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।’ প্রসঙ্গত কয়েক বছর আগে পাশেই একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। দোকানে লুট করতে এসে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এরপরই পালানোর সময়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যায়। বৃহস্পতিবারের এই চুরির ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।