এরপরই বাধ্য হয়ে হাঁড়ি কলসি নিয়ে জলের দাবিতে ধর্নায় নামেন গ্রামের মহিলারা। এই বিষয়ে এক মহিলা জানান, “বিগত ১০ দিন ধরে রাস্তাটি ধস নেমে বসে আছে। যাতায়াতের অসুবিধে তো আছেই, সেই সঙ্গে আমরা কেউ একটুও জল পাচ্ছি না। এই রাস্তার নিচ দিয়েই গিয়েছে জলের পাইপ। তাই এই অসুবিধে। প্রশাসন ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বহুবার এই বিষয়ে বিগত ১০ দিন ধরে আমাদের গ্রাম থেকে জানানো হচ্ছে। কিন্তু কারোর কোনও হোলদোল নেই দেখছি। তাই বাধ্য হয়ে আজ আমরা এখানে ধর্নায় বসেছি”। ওই মহিলা আরও বলেন, “এখন এই রাস্তা দিয়ে কোনও গাড়ি, টোটো, অটো, রিকশা যাতায়াত করতে পারছে না। কোনোমতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে বাইক ও সাইকেলও। যে কোনও মুহূর্তে বিশাল বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে”।
এই বিষয়ে ওই এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা রাধারানী মাইতি বেতাল বলেন, “আমি BJP-র সদস্য হওয়ায় আমার কথাতে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না এই অঞ্চলের প্রশাসন”। তবে পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রীনারায়নপুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান বনবিহারী পাত্র বলেন, “আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান করা হবে”। বর্তমানে প্রায় ৪ ফুট গভীরে বসে গিয়েছে রাস্তাটি। রাস্তার প্রায় ২০ ফুট অংশে এই ধস নেমেছে।ধ্বস নামার পর মাটি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল বলে দাবী স্থানীয়দের। ভূমিকম্প হওয়ারও দাবি তুলেছেন বেশ কিছু গ্রামবাসী। রাস্তায় যান চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারাও । বেশ কিছুদিন স্কুলেও যেতে পারেনি পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।