Rose Tree : কিংবদন্তিকে বাঙালির কুর্নিশ, গোলাপের নয়া প্রজাতি ‘লতা দিদি’ – new species of rose is named after singer lata mangeshkar


কুবলয় বন্দ্যোপাধ্যায়
আঁখিয়া গুলাব য্যায়সে/মদ কি হ্যায় পেয়ালিয়াঁ … সেই ১৯৫০ সালে, ‘বেকসুর’ ছবিতে মধুবালার লিপে যখন মহম্মদ রফির সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছিলেন, তখন কি সঙ্গীতসম্রাজ্ঞী ভেবেছিলেন, কোনও দিন তাঁর নামেই ফুটে উঠবে গোলাপ!

সারা জীবন যাঁর ঝুলিয়ে পুরস্কার আর সম্মাননার লুটোপুটি, মৃত্যুর প্রথম বর্ষপূর্তির ঠিক আগে সেই লতা মঙ্গেশকরকে (Lata Mangeshkar) এ ভাবেই শ্রদ্ধা জানালেন এক বঙ্গসন্তান। ইন্ডিয়ান রোজ় ফেডারেশন স্বীকৃতি দিল আগরপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের তিন বছরের পরিশ্রমকে। ‘গোলাপ পাগল’ এই বাঙালির হাতেই তৈরি হয়েছে গোলাপের নতুন প্রজাতি ‘লতা দিদি’।

Best Street Food Biriyani: গোলাপ থেকে চন্দন ফ্লেভার! ৬৯ টাকায় পেটচুক্তি বিরিয়ানি, ফ্রি লস্যিও
‘জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রার’ সেট থেকে চুরি হয়ে যাওয়া কর্কট রাশির মোহর খুঁজে দিতে একবার পানিহাটির চৌধুরীবাড়িতে হাজির হন ফেলুদা-তোপসে-জটায়ু। চৌধুরীদের গোলাপ বাগানে ঘোরার সময় ফেলুদা জেনেছিলেন, গোলাপ অন্তত তিনশো রকমের হয়। সন্দেশ পত্রিকায় ‘জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা’ প্রকাশ হওয়ার ৩৯ বছর পর অবশ্য ওই সংখ্যা আর ৩০০-তে আটকে নেই। শুধু বাংলাতেই খোঁজ মেলে গোলাপের অন্তত তিন হাজার প্রজাতির। ডিসেম্বরে সেই সংখ্যা আর একটু বেড়ে গেল। গোলাপের নবতম প্রজাতির নামকরণ হলো ইন্ডিয়ান নাইটেঙ্গেল লতা মঙ্গেশকরের নামে।

Tithi Bhojan Scheme : ‘তিথি ভোজনে’ অতিথি পড়ুয়াদের অসম্মান? বিতর্কে কেন্দ্র
প্রায় তিন দশক আগে গোলাপের প্রেমে পড়েছিলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকে গত আড়াই দশকে কয়েক ডজন পুরস্কার তাঁর গোলাপ-প্রীতি ও গোলাপ গবেষণার সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি। ‘গোলাপ পাগল’ এই ব্যক্তির নাম শুধু বাংলা নয়, একই সঙ্গে গোটা দেশের গোলাপ বিশেষজ্ঞদের কাছে বেশ পরিচিত। সঞ্জয় বাংলার গোলাপ-প্রেমীদের সংগঠন বেঙ্গল রোজ় সোসাইটির যুগ্ম সম্পাদক। এছাড়াও অতি সম্প্রতি তাঁকে ভারতের গোলাপ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন ইন্ডিয়ান রোজ় ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান রোজ ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষ্যে গোলাপের একটি বিশেষ প্রজাতির নামকরণ হবে লতা মঙ্গেশকরের নামে। সেই মতো গোটা দেশ থেকে গোলাপ বিশেষজ্ঞরা সংগঠনের কাছে গোলাপের নতুন প্রজাতি পাঠান। তার মধ্যে থেকেই বাংলার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের তৈরি প্রজাতিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রজাতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘লতা দিদি’। ডিসেম্বরে পুনেতে অনুষ্ঠিত রোজ কনভেনশনে এই বিশেষ ঘোষণাটি করা হয়েছে।

Pritikana Goswami Padma Shri : সোনারপুর থেকে বিদেশে পাড়ি দেয় নকশিকাঁথা, বিনা পারিশ্রমিকে সেলাই শেখান পদ্মশ্রী প্রীতিকণা
তাঁর তৈরি গোলাপের প্রজাতির নামকরণ লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) নামে। আনন্দ আর উত্তেজনার তাই শেষ নেই বঙ্গতনয় সঞ্জয়ের। বলছেন, “পুনে রোজ় কনভেনশনে আমি এই স্বীকৃতি পেয়েছি। লতা দিদি নামের গোলাপের এই প্রজাতিতে ৬০-এর বেশি পাপড়ি থাকে। রং, ক্রিম বেস। ফুলের মাঝখানটা উজ্জ্বল লালচে গোলাপি এবং ধারের দিকে হালকা গোলাপি।” রং ছাড়াও এই গোলাপের অন্য বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে জানাচ্ছেন সঞ্জয়বাবু। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এখন বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে রোগ প্রতিরোধী শক্তপোক্ত প্রজাতির গোলাপ তৈরির ক্ষেত্রে। এদিক থেকে ‘লতা দিদি’ খুবই উপযুক্ত। এই গাছে ফুল আসার পর অন্তত ২০-২৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *