শুধুই কি বেহাল রাস্তা? এই দুই গ্রামে নেই বিশুদ্ধ পানীয় জলও। এই বিষয়েও এদিন ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামের বাসিন্দারা। বিক্ষোভরত গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “এখানে রাস্তার হাল খুবই খারাপ। বর্ষাকালে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, গ্রামে নেই পানীয় জলের বন্দোবস্তও। অনেক দূরে গিয়ে জল আনতে হয় আমাদের। বাধ্য হয়ে পথে নেমেছি। পাশাপাশি আমরা আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরোপুরি ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছি। অন্যদিকে রাস্তার উপর মিছিল করে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন আশ্বাস না দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন ও কর্মসূচি চলবে। আমরা বাধ্য হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছি।”
ওই গ্রামবাসী আরও বলেন, “বারবার হিঙ্গলগঞ্জের (Hingalganj) বিধায়ক দেবেশ মন্ডলকে জানানো সত্বেও কোনও লাভ হয়নি। যার কারণে আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথে গিয়েছি।” এদিকে, হিঙ্গলগঞ্জের প্রাক্তন CPIM নেতা ঋষিকেশ মন্ডল বলেন, “আমরা ২০১১ সালের আগে চল্লিশ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিলাম এই রাস্তার জন্য, পিচের রাস্তা হবে বলে। কিন্তু গ্রামবাসীরা করতে দেয়নি। যারা বলেছিল তারাই আজকে তৃণমূল। এখন এই ভোট বয়কটের কথা বলছে, এটা শুধুই মুখের কথা। এইভাবে এই গ্রামের মানুষের সঙ্গে রাজনীতি চলছে। পাশাপাশি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই রাস্তাটা খারাপ। প্রতিদিন কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। বিধায়ককে জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি।” রাস্তা জুড়ে বিক্ষোভের খবর পেয়েই বিক্ষোভ স্থলে আসে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ।