এই সময়: দলের আর পাঁচ জন সাধারণ নেতা-কর্মীর মতো তিনিও দিদির দূত হিসেবে আমজনতার কাছে পৌঁছতে চান, নিজের কানে শুনতে চান মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের নোদাখালিতে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিতে এসে এমনই ইচ্ছে প্রকাশ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদির সুরক্ষাকবচ (Didir Surakha Kawach) কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূলের (TMC) নেতা-নেত্রী-জনপ্রতিনিধিরা। অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা- মানুষ তৃণমূলকেই বিশ্বাস করে, সেই জন্যই তারা তৃণমূল নেতাদের কাছে তাদের অভাব-অভিযোগের কথা জানাচ্ছে।
Mithun Chakraborty : ‘আর কত খাবেন…এবার বমি হবে!’ নদিয়া থেকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের
অভিষেকের কথায়, ‘যার কাছে গেলে সমাধান হবে, মানুষ তো তাকেই বলবে। মানুষের ক্ষোভ আমাদের কাছে আশীর্বাদ। এটা মানুষের ভালবাসা।’ অভিষেক বলেন, ‘যাঁরা সুরক্ষাকবচ করছেন, তাঁদের বলব, একদম বিচলিত হবেন না।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে দিদির সুরক্ষাকবচ করব। আমরা ভোটের সময়ে ভোটপাখি হয়ে আসি না। আপনার সুখের সময়ে থাকব। আবার দুঃখের সময়েও পাশে থাকব।’
Didir Doot No Entry: ‘রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ নিষেধ…’, এবার পোস্টার ইংরেজ বাজারে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ!
এই নিয়ে বিজেপি-কেও একহাত নিয়েছেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘মানুষ তৃণমূলের কাছে ক্ষোভ উগরাবে না তো কি বিজেপির কাছে ক্ষোভ উগরাবে? গত লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি ১৮ জন সাংসদ পেয়েছিল। মানুষ তাঁদের দেখতে পান? এক জন সাংসদ ১২ মাসের মধ্যে ১১ মাস দিল্লিতে ফুর্তি করেন। তিনি তো মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে!’ দিল্লির বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশে হুঙ্কার ছুড়ে অভিষেক বলেন, ‘আমরা দিল্লির কাছে মাথা নত করব না। আমরা শুধু বাংলার মানুষের কাছে মাথা নত করব।’