একই দাবি করেছেন মেদিনীপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মেদিনীপুর শহর সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে মেদিনীপুর (Medinipur) শহরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার প্রস্তুতিতে মিছিল ও সভার ডাক দেওয়া হয় দলীয় ব্যানারে। এই কর্মসূচিতে তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া (June Maliya) সহ জুন অনুগামীরা উপস্থিত থাকলেও গরহাজির ছিলেন জেলা সভাপতি, শহর সভাপতি সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরই মেদিনীপুর শহরের পানপাড়ায় দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কৃত এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতেও দেখা যায় জুন মালিয়াকে। এরপরই জুনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উপরে দেন শহর সভাপতি সহ সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। শহর তৃণমূলের দাপুটে এই দুই নেতার চাঞ্চল্যকর অভিযোগে রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক শিবির।
যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পরেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। অন্যদিকে দু’পক্ষের মধ্যে যে মতবিরোধ রয়েছে তা কার্যত মেনে নিয়েছেন মেদিনীপুর জেলার দায়িত্বে থাকা রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক প্রদ্যুৎ ঘোষ। শাসকদলের এই গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্য আসার পর অবশ্য তাঁদের বিঁধতে ছাড়ছে না BJP। জেলা BJP-র সহ সভাপতি শংকর গুচ্ছাইতের দাবি, “বিলম্বিত বোধোদয় হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের”। সব মিলিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সভার আগে জেলা সদরে শাসকদলের কোন্দলে কি আদৌ রাশ টানা যাবে সেটাই এখন দেখার।
