Kakoli Ghosh Dastidar : ‘মমতাকে হারাতে কাফেরদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে ISF…’, দলীয় সভা থেকে বেনজির আক্রমণ কাকলির – barasat mp kakoli ghosh dastidar attacks isf from her meeting


ISF : ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF) বিরোধিতা করতে গিয়ে এবার ‘কাফের’ শব্দের উত্থাপন করলেন বারাসতের (Barasat) তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হারাতে কাফেরদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে ISF। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে অল্পবয়সী ছেলেদের ভুল বোঝাচ্ছে”, শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলার হাড়োয়ায় (Haroa) এক দলীয় সভা থেকে এই ভাষাতেই নওশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddique) দলকে আক্রমণ করলেন সাংসদ। যদিও তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ISF বলেছে, জেলার তাঁদের দলকে রীতিমতো ভয় পাচ্ছে বলেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতা নেত্রীরা এই ধরনের কথা বলছেন। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের BJP সরকারের জনবিরোধী নীতি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা আর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শনিবার প্রতিবাদ মিছিল ও সভা ছিল হাড়োয়ায়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বারাসতের (Barasat) সাংসদ।

Nawsad Siddiqui : জামিনের আবেদন খারিজ, ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে বিধায়ক নওশাদ সহ ১৯
সেখান থেকে তিনি প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন। বলেন, “BJP-র একের পর এক জনবিরোধী নীতির জন্য সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। BJP-র ভ্রান্ত নীতির জন্য LIC-র মতন কোম্পানি লোকসানের মুখে পড়ছে। ফলে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের উপরেও তার প্রভাব পড়বে”। পাশাপাশি তিনি মুল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়েও জোরদার সওয়াল করেন BJP-র বিরুদ্ধে। এরপরেই হঠাৎ আক্রমণের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেন ISF-এর বিরুদ্ধে। তোপ দেগে সাংসদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হারাতে কাফেরদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে ISF। CPIM, কংগ্রেস আর সঙ্গে ISF। ISF কোন দল, কোথা থেকে এল? যার নেতা ধর্মতলায় ভাষণ দিতে গেলে বন্দুক হাতে করে সঙ্গে লোক যায়। এবং তাঁকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে সেই আইএসএফ নেতা বন্দুকধারীকে স্টেজে তুলে নেন। কে সেই বন্দুকধারী? যে একটা ওপেন মিটিংয়ে গণতন্ত্র বিরোধী কথা বলে। আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রেখে একটা মিটিং করাটা আমাদের সংবিধান মান্যতা দেয় না। ISF পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে অল্পবয়সী ছেলেদের ভুল বোঝাচ্ছে”।

Naushad Siddique: হাতে বিষ ইঞ্জেকশন, ভাইজানের মুক্তির দাবিতে অবস্থানে বশির
পাশাপাশি দিদির দূতদের ঘিরে যে অভিযোগ জানানো হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, “তৃণমূল দলে নেত্রী একজনই। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যুবনেতা একজনই, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আমরা সবাই কর্মী, দিদির দূত। মানুষ তো আমাদের কাছেই তাদের অভাব অভিযোগের, দাবির কথা জানাবেন। এটাই স্বাভাবিক। আমরা সেটাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌছে দেব। সেই জন্যই এই কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে”। শুধুমাত্র কুৎসা করার জন্যই বিরোধীরা এই কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। শনিবার হাড়োয়া বিধানসভার দেগঙ্গা থেকে দেগঙ্গা বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা মিছিল করেন তৃণমূল নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা। এদিন মিছিলে পা মেলান কয়েক হাজার মানুষ। পরে দেগঙ্গা বাজারে প্রতিবাদ সভা হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *