Kuntal Ghosh: সরকারি চাকরির জন্য ১৪ লাখ টাকা নিয়েও প্রতারণা! কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীর মায়ের – hooghly woman complain that kuntal ghosh tmc leader took more than three lakhs money to give government jobs


West Bengal Local News চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে। গত শনিবারই গ্রেফতার হয়েছে হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তাঁকে জেরা করে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। একইসঙ্গে কুন্তল গ্রেফতার হতেই তাঁর বিরুদ্ধে সামনে আসছে একের পর এক প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ।

হুগলির তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ সহ টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে সরব হয়েছেন এক অভাবী পরিবারের বিড়ি শ্রমিক। তাঁর নাম রূপা দাস। হুগলির বলাগড়ের জিরাটের বাসিন্দা নিজের ছেলের সরকারি চাকরির জন্য কুন্তলের সাহায্য চেয়েছিলেন। বিড়ি বেঁধে, পেন ফ্যাক্টরিতে কাজ করে চলে সংসার। তাই সুখের দিনের মুখ দেখতে নিজের মেধাবী ছেলের সরকারি চাকরির স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ির পিছনেই কুন্তলের দিদি কুন্তলার বাড়ি বলে খবর।

TET Scam: নিয়োগ দুর্নীতিই নয়, জালিয়াতিতেও জড়িয়েছে কুন্তলের নাম

অভিযোগ, কুন্তলের দিদিই রূপা দেবীকে জানিয়েছিলেন, ২০ দিনের মধ্যে সরকারি চাকরি করিয়ে দিতে পারবে তাঁর ভাই। কিন্তু, চাকরি পেতে গেলে টাকা দিতে হবে। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে কুন্তলার কথাতেই কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রূপা দেবী। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, ছেলেকে চাকরি করিয়ে দিতে ১৪ লাখ টাকা চেয়েছিল কুন্তল। ২০ দিনের মধ্যে খাদ্য দফতরে চাকরি করে দেবে দাবি করেছিল তৃণমূল নেতা। ১৪ লাখের মধ্যে প্রথমে পাঁচ লাখ দিতে বলেছিল কুন্তল। তবে ওত টাকা দিতে পারবে না বলে জানান রূপা দেবী। বিড়ি বেঁধে, পেন ফ্যাক্টরিতে কাজ করে তিলে তিলে জমানে তিন লাখ টাকা তুলে দেন কুন্তলের হাতে।

Kuntal Ghosh On Partha Chatterjee : ১৫ কোটি নিয়েছিলেন পার্থ! জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল

প্রতারিত রূপাদেবীর জানিয়েছেন,বলাগড়ের বাড়িতে বসেই টাকা নিয়েছিল কুন্তল। প্রথমে তিন লাখ টাকা নগদ দেওয়া হয়। তবে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কোন টাকা নেয়নি সে। চাকরি হয়ে গেলে বাকি টাকা দিতে বলেছিল । পরে বহুদিন কেটে গেলেও যখন চাকরি হচ্ছে না দেখে তখন টাকা ফেরত চাইতে গিয়েছিলেন রুপা দেবী। যদিও টাকা নিয়ে নেওয়ার পর থেকে আর দেখা করত না কুন্তল। কিন্তু, পরে চাকরিপ্রার্থী বা তাদের পরিবারের লোকেরা দেখা করতে গেলে করতে চাইলে দারোয়ান তাদের তাড়িয়ে দিত।

ইতিমধ্যেই রূপা দেবীর বাড়িতে বিপর্যয় ঘটে। তাঁর মেয়ে পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। অপারশেনের জন্য প্রচুর টাকার দরকার পড়ে। সেসময় টাকা চাইতে গেলেও মেলেনি টাকা। এখন কুন্তলের উপযুক্ত শাস্তির সঙ্গে নিজের টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন রূপা দেবী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *