পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনিরামপুরের রুবেল শেখের সঙ্গে বছর দুয়েক আগে রাখালদাসপুরের সুফিনার বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন রুবেল। সুফিনা সন্তান সম্ভবা হওয়ার পরে মাস সাতেক আগে বাপের বাড়িতে তাঁকে রেখে যান তিনি। মাস খানেক আগে সুফিনা এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। দীর্ঘদিন কেটে গেলেও রুবেল কোনওদিন তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের খবর নেননি বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে আচমকা বাড়িতে এক প্যাকেট মিষ্টি হাতে করে নিয়ে সদ্যোজাত সন্তানকে দেখতে আসেন তিনি। মিষ্টির মধ্যে কীটনাশকের গন্ধ পাওয়ার পরে সন্দেহ হওয়ায় পাড়ার লোকেরা তাঁকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর রানিনগর থানার পুলিশ এসে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
ধৃত রুবেল শেখকে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে রবিবার লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। স্ত্রী সুফিনা বিবি বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার উপর অত্যাচার করত। সন্তান হওয়ার পরে কোনও খবর নেয়নি। হঠাৎ করে মিষ্টি নিয়ে আসায় আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু কীটনাশক মিশিয়ে আনবে তা কল্পনাও করিনি। আমি চাই ওর উপযুক্ত শাস্তি হোক।’ সুফিনার মা পারভিনা বিবি বলেন, ‘কোনওদিন ভাবতে পারিনি জামাই এই ধরনের কাজ করবে। মেয়ে ও সদ্যোজাত সন্তানকে আমরাই দেখছি। একটা টাকা দিয়েও সহযোগিতা করেনি। তারপর কীটনাশক মিশিয়ে মিষ্টি নিয়ে এসেছিল। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।’