বাংলা থেকে ভারতের মহিলা দলে একমাত্র রয়েছেন রিচা ঘোষ। এরপর তিতাসের পালা। তবে সামনে এখনও অনেকটা পথ। সেটা তাঁকে ঠিক করতে হবে। সেই পথে চলার সময় প্রথম ধাপ বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপে চারটে উইকেট পেয়েছেন। বাকি ক্যাচ মিস না হলে এই উইকেটের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। তবে এসব নিয়ে ভাবতে চান না তাঁর বাবা রনদীপ সাধু।
সাংবাদিকদের রনদীপ সাধু বলেন, “এরকম টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা কৃতিত্ব। চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা নির্ভর করে দলের পুরো পারফরমেন্সের উপর। ও দলে এতদিন টিকে থাকতে পেরেছে এটাই অনেক। এবার ভারত একজনই পেসার খেলাচ্ছে, যেখানে তিতাস রয়েছে। এই টুর্নামেন্টে চাপ নিয়ে ভালো করেছে। আমরা আশা করেছিলাম পেসারদের সাহায্য করবে দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ। কিন্তু তা হয়নি। তা সত্ত্বেও ও ৪টে উইকেট পেয়েছে। বেশি চিন্তা না করলে যেমন খেলেছে জিতে যাবে।”
এবার ভারতীয় দলে একমাত্র বাঙালি তিতাস। তাঁর বাব মনে করেন ছবিটা আরও বদলাবে। তিনি বলেন, “বাঙালি মেয়েরা অন্য মেয়েদের থেকে এগিয়ে। অভিভাবকরা বাকিদের থেকে এগিয়ে। এখানে যতগুলো কোচিং ক্যাম্প চলছে চার বছর আগে এটা ছিল না। ছেলেদের মধ্যে তিতাস একা ছিল। এখন মেয়েদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।”
চুঁচুড়া মাঠে প্র্যাকটিস করে ক্রিকেটার হওয়া তিতাসের। সেই মাঠে তার কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মত জায়গায় রয়েছে। বেশ কয়েকজন সিনিয়র প্লেয়ার রয়েছে। তিতাস যেভাবে খেলছে তাতে আগামী দিনে সে আরো ভালো খেলবে। তবে এই বিশ্বকাপে ও ভালো করেছে, আরও ভালো করতে পারত। ঠিকঠাক করে খেলে সিনিয়র দলে সুযোগ পাবে।” তিতাসের শৈশবের কোচ দেবদুলাল রায়চৌধুরী বলেন, “তিতাস ভালো বল করে। ওর আত্মবিশ্বাস আছে, পরিশ্রম করেছে। সিনিয়রদের সাহায্য পেলে ও আরও ভালো করবে।”