West Bengal DA News : ‘দ্রুত ডিএ নিয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে…’, হুঁশিয়ারি আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের – west bengal govt employees calls for protest wants immediate release of due da


বকেয়া ডিএ (West Bengal DA) নিয়ে এবার বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি কর্মচারি এবং পেনশনার সংগঠনের। গত তিনদিন ধরে শহিদ মিনারে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছে সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্তদের ২৮টি সংগঠনের একটি যৌথ মঞ্চ। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া ৩৫ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। না হলে বড়সড় আন্দোলনের পথে নামবেন তাঁরা। এই মর্মে রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ একটি সাংবাদিক বৈঠকেরও ডাক দিয়েছে তাঁরা।

DA Update Today: সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিল DA মামলার শুনানি
রাজ্যকে হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মচারী মঞ্চের

এদিক, কর্মচারি এবং পেনশনার সংগঠনের পক্ষ থেকে এক সরকারি কর্মী বলেন, “আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বকেয়া ডিএ (DA) দিচ্ছে না সরকার। অবিলম্বে আমাদের ৩৫ শতাংশ ডিএ (35% DA) মিটিয়ে দিতে হবে। এই নিয়ে সরকারকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর কতদিন অপেক্ষা করব আমরা? আজ যদি রাজ্য সরকার এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেন তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নামব। রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। এই নিয়ে বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে আমরা পরবর্তী কর্মসূচির কথা জানাব।”

DA Case: এবার DA-র দাবিতে আরও বড় আন্দোলনের ডাক, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মীদের
DA-র দাবিতে লড়াই অব্যাহত

DA নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। গত বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মিটিয়ে দেয়। এই জন্য তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। স্যাটের পর কলকাতা হাইকোর্টের রায়ও যায় সরকারি কর্মীদের পক্ষে। কিন্তু, এই রায় পুর্নবিবেচনা করার আবেদন জানিয়ে ফের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু, সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া তিন মাসের সময় সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও DA না দেওয়ায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এদিকে DA মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। গত বছর এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত (Supreme Court Justice Dipankar Dutta)। এরপরেই এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে বলে আশা করছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কিন্তু, বার বার ধাক্কা খেয়েছেন তাঁরা। পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। আগামী ১৫ মার্চ এই মামলার পরবর্তী সুপ্রিম শুনানি রয়েছে। এখন সেদিকেই তাঁকিয়ে রাজ্য সরকারী কর্মচারিরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *