জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে (Guiness Book of World Records) ফের বাজিমাত করলেন অলকা ইয়াগনিক (Alka Yagnik)। এই নিয়ে টানা তিনবার ‘মোস্ট স্ট্রিমড সিঙ্গার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ (Most Streamed Singer In The World) নাইন্টিজের বলিউড ‘মেলোডি কুইন’। বিশ্বের তাবড় গায়ক-গায়িকা ও ব্যান্ডদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন কলকাতায় জন্মানো ৫৬ বছরের গায়িকা। লড়াইয়ে ধোপে টিকলেন না টেলর সুইফট (Taylor Swift), বিটিএস (BTS), ড্রেক (Drake) এবং বিয়ন্সের (Beyonce) মতো মহারথীরা।
গিনেস বিশ্বরেকর্ডের রিপোর্ট বলছে, গতবছর ১৫.৩ বিলিয়ন মানুষ অনলাইনে স্ট্রিম করে শুনেছেন অলকার মধুর আওয়াজ। গড়ে প্রতিদিন ৪২ মিলিয়ন স্ট্রিম হয়েছে। ২০২১ সালে ১৭ বিলিয়ন স্ট্রিম হয়েছিল তাঁর, ২০২০ সালে ১৬.৬ বিলিয়ন মানুষ স্ট্রিম করেছিলেন অলকাকে। দুয়ে পুয়ের্তো রিকান ব়্যাপার ব্যাড বানি (১৪.৭ বিলিয়ন), তিন থেকে পাঁচে রয়েছেন নয়ের দশক কাঁপানো আরও দুই ভারতীয় গায়ক। তিনে উদিত নারায়ণ (১০.৮ বিলিয়ন), পাঁচে কুমার শানু (৯.০৯ বিলিয়ন)। চারে রয়েছেন এই প্রজন্মের মেলোডির বাদশা অরিজিত সিং (১০.৭ বিলিয়ন)। ভাবতে অবাক লাগে যে, বিশ্বকাঁপানো বহু গায়ক-গায়িকাই কল্কে পাননি। প্রথম দশে রয়েছে কোরিয়ান ব্যান্ড বিটিএস (৭.৯৫ বিলিয়ন) ও ব্ল্যাকপিংক (৭.০৩ বিলিয়ন)। দ্য উইকেন্ড (৫.৭ বিলিয়ন) রয়েছে ১৩ নম্বরে। টেলর সুইফট (৪.৩৩ বিলিয়ন) ২৬ নম্বরে। ড্রেক (২.৯ বিলিয়ন) আছেন তালিকায় ৫০ নম্বরে।
নয়ের দশকে বলিউড কাঁপিয়েছেন অলকা। মাধুরী দীক্ষিত থেকে জুহি চাওলা, শ্রীদেবীর লিপে তাঁর গানের মাদকতায় বুঁদ হয়েছিলেন শ্রোতারা। ‘পরদেশি পরদেশি’, ‘গজব কা হ্যায় দিন’, ‘তাল সে তাল মিলা’র মতো গানে অলকার জাদু করেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অলকা বলেছেন, ‘প্লেব্যাক গাওয়া সহজ নয়, যতটা দেখে মনে হয়। এখানে একজন চরিত্রের হয়ে গাইতে হয়। সেই গান যেন অভিনেতার কাজটা সহজ করে দেয়। তারা যেন আবেগি হয়ে পড়ে, তাদের জন্য বিষয়টি কঠিন হলে চলবে না। আলাদা আলাদ কম্পোজারের স্টাইল ধরাটাও প্লেব্যাক গায়ক-গায়িকার কাছে চ্যালেঞ্জের। একবার সেটা অর্জন করতে পারলে, তার মতো আনন্দ আর কিছুতেই মেলে না। যখন কম্পোজার বলেন যে, তার স্টাইল পারফেক্ট ভাবে রপ্ত করতে পেরেছে গায়ক-গায়িকা। তার অনুভূতিই আলাদা।’ অলকা আবারও বুঝিয়ে দিলেন যে, সারা পৃথিবী ভারতের নয়ের দশকের গানেই বুঁদ।