রাঁচির পর লখনউয়ের পিচকে জঘন্য বলে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। These two wickets are not made for T20I. It was a shocker of a wicket, says Hardik Pandya


জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাঁচির (Ranchi) পর এবার লখনউ (Lukhnow)। জেএসসিএ স্টেডিয়ামের (JSCA Stadium) পর এবার চরম বিতর্কে ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা স্টেডিয়ামের (Bharat Ratna Shri Atal Bihari Vajpayee Ekana Cricket Stadium) বাইশ গজ। দুটি স্টেডিয়ামের বাইশ গজকে এবার কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। টিম ইন্ডিয়ার (Team India) টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের মতে, এটা একেবারে জঘন্য উইকেট!হার্দিকের আগে লখনউ স্টেডিয়ামের পিচকে ‘সাবস্টান্ডার্ড’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। 

লখনউয়ের পিচে প্রথম থেকেই দারুণ বোলিং করেছিল ভারতীয়রা। চতুর্থ ওভারেই ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে দেন দলে ফেরা যুজবেন্দ্র চাহাল। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার নজির গড়লেন তিনি। টপকে গেলেন ভুবনেশ্বর কুমারকে। এরপর নিউজিল্যান্ডের কোনও ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। একের পর এক ব্যাটার এসেছেন এবং সাজঘরে ফিরেছেন। সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। ২৩ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি। ৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন অর্শদীপ সিং। একটি করে উইকেট হার্দিক, ওয়াশিংটন সুন্দর, চাহাল, দীপক হুডা এবং কুলদীপ যাদব। 

তবে মাত্র ১০০ রান চেজ করতে নেমে ভারতীয় ব্যাটারদের একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়েছিল।  দুই ওপেনার শুভমন গিল ও ঈশান কিশান ফের একবার ভালো শুরু করেও, বিপক্ষকে চাপে রাখতে পারলেন না। শুভমন (১১) মিচেল ব্রেসওয়েলের বলে। আর খারাপ ফর্মের মধ্য দিয়ে চলতে থাকা ঈশান তো রান আউট হয়ে উইকেট দিয়ে এলেন। ভারত তখন ৪৬ রানে ২। পৃথ্বী শাহ-কে এবারও সুযোগ দেওয়া হল না। তবে রাহুল ত্রিপাঠি (১৩) সুযোগ পেলেও, ফের একবার সেই সুযোগ হেলায় হারালেন। রাহুল যখন ফিরে যান, তখন ভারতের স্কোর ৫০ রানে ৩ উইকেট। এরপর ডাগ আউটের দিকে হাঁটা লাগালেন গত ম্যাচে অর্ধ শতরান করা ওয়াসিংটন সুন্দর। তবে শেষ পর্যন্ত কিউইরা আর পারেনি। কারণ তাঁদের ঝুলিতে যে রান বড্ড কম ছিল। তাই সূর্য ও হার্দিক ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। 

আরও পড়ুন: IND vs NZT20I: সূর্যের ব্যাটে ছয় উইকেটে জিতে অতি কষ্টে সিরিজে সমতা ফেরাল হার্দিকের ভারত

আরও পড়ুন: U19 Womens T20 World Cup: ঝুলনের পর বিশ্বমঞ্চে কাপজয়ী তিন বঙ্গ তনয়া রিচা, তিতাস, ঋষিতা! জেনে নিন ওদের উত্থান

যদিও খারাপ ব্যটিং করলেও, পিচকে দুষলেন হার্দিক। ম্যাচের শেষে তিনি বলেন, “সত্যি বলতে, উইকেট দেখে আমি হতবাক হয়েছি। সিরিজে যে দুটি ম্যাচ খেলেছি, উইকেট একই রকম ছিল। কঠিন উইকেটে খেলতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু এই দুটি উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য বানানো হয়নি। প্রতিটি ম্যাচেই পিচ কিউরেটর একই ধরনের উইকেট বানাচ্ছে। আমরা যে মাঠে খেলতে চলেছি, সেই উইকেট আরও আগে তৈরি করা উচিত। এটা একেবারে জঘন্য উইকেট।” 

কিন্তু তাই বলে ১০০ রান চেজ করতে ১৯.৫ ওভার লেগে যাবে! এক্ষেত্রে হার্দিকের ব্যাখ্যা, “শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকলে আমরা ম্যাচ জিতব। সূর্য ও আমার মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাস রয়েছে। তবে এই ম্যাচটা জিততে অনেক দেরি হয়ে গেল। আসলে খারাপ পিচে ১০০ রান চেজ করাও কঠিন হয়ে যায়। আমার তো মনে এই পিচে ১২০ রানই জেতার জন্য যথেষ্ট।” 

হার্দিক যাই বলুন, ভারতীয় বোলারদের এমন পারফরম্যান্সই দলকে সিরিজে বাঁচিয়ে রাখল। ফের ব্যটিং ব্যর্থতার পরেও সিরিজে সমতা ফেরাল টিম ইন্ডিয়া। ১ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)   





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *