এদিন তিনি বলেন, “দিদির দূতরা বাংলার ভূত। গ্রামে ঢুকলে তাদের হাতা খুন্তি ঝাঁটা দিয়ে মারুন। যদি তা না থাকে তাহলে পায়ের জুতো থাকলে সেই জুতো খুলে মারুন। আগে আপনাদের সুদ সমেত পাওনা ফেরত দিতে বলুন। ওরা গ্রামে ঢুকলে চোরেদের মতন তাড়া করুন।” এখানেই না থেমে তিনি আরও অভিযোগ করেন, “তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতারা বালি, কয়লা এমনকি গরিব মানুষদের চাকরি লুট করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। আর যাদের চাকরি পাওয়ার কথা তারা রাস্তায় বসে আছেন। আর তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতারা এখন পুলিশ আর পাইলট কার নিয়ে ঘোরাফেরা করছেন। যদি ওদের সাহস থাকে তবে পুলিশ ছাড়া রাস্তায় বেরিয়ে দেখুন।”
যদিও এই প্রসঙ্গে হাওড়া (Howrah) সদরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, “আমরা যেখানেই যাচ্ছি ফুল মালা পাচ্ছি। জুতো জুটছে BJP-র কপালে। মিথ্যা কথা বলে ভাঁওতাবাজি করছে BJP। যা মানুষ বুঝে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নে খুশি সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্য এত জীবনমুখী প্রকল্প এনেছেন যা আগে কোনও সরকার করেনি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতী ঘোষই প্রথম BJP নেত্রী নন যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি ‘দিদির দূত’-কে এভাবে তুলোধোনা করলেন। এর আগে BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বেনজির ভাষায় আক্রমন করেছেন। এছাড়াও এর আগে মমতার সরকারের এই নতুন কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন BJP বিধায়ক লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি ‘দিদির দূত’দের বেঁধে রাখার নিদান দিয়েছিলেন। রাজের প্রধান বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের এহেন আক্রমন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ অভিমত বলছে, তাঁদের এই কর্মসূচি সারা রাজ্য জুড়ে সফল হচ্ছে বলেই BJP নেতারা এইভাবে বেলাগাম ভাষায় এই কর্মসূচিকে কদর্য ভাবে আক্রমন করছেন। এতে আখেরে লাভ হচ্ছে তাঁদেরই, এমনটাই মনে করছে রাজ্যের শাসকদল।