গান্ধীজির প্রয়াণ দিবসেও রাজনীতি!
মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস ঘিরে রাজনীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য। সোমবার সকালে বেলেঘাটার গান্ধী ভবনে পূর্ব নির্ধারিত মাল্যদান কর্মসূচিতে পৌঁছন CPIM নেতৃত্ব। ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, CPIM-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, CPIM-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অন্যরা। কিন্তু, অভিযোগ ওঠে, গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান করতে যাওয়ার সময় তাঁদের বাধা দেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। পালটা শাসকদলের অভিযোগ, নির্ধারিত সূচি মেনে মাল্যদান কর্মসূচি পালন করেনি CPIM নেতৃত্ব। সেই থেকেই এই বচসা। দেখা যায়, বাধা পেরিয়েই গান্ধী ভবনে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসবচি শুরু করে দেন মহম্মদ সেলিম।
ঠিক সেই সময়ই পুলিশকে ফোন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অলোক দাস। কার্যত হুমকির সুরে পুলিশকে ফোন করার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, নির্ধারিত সময় মাল্যদান কর্মসূচির জন্য তৃণমূলকে দেওয়া হলেও কী ভাবে CPIM সেই সময় গান্ধী ভবনে প্রবেশ করল? পুলিশের ব্যর্থতা বলেই উল্লেখ করেন তিনি। প্রথমে তৃণমূল এবং গান্ধী স্মারক সমিতিকে এই মাল্যদান কর্মসূচির জন্য সময় দেওয়া ছিল। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, সময় না মেনে CPIM জোর করে কর্মসূচি শুরু করে।
এরপর যদিও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অলোকানন্দা দাস এই মাল্যদান কর্মসূচি পালন করেন। তাঁর কটাক্ষ, সরকারে থাকাকালীন কোনওভাবেই গান্ধী ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি।