Didir Doot : ১১টা বাজলেও খোলেনি স্কুল! গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ‘দিদির দূত-এর – didir doot partha pratim roy become angry after he get to know that a school of dinhata not open at 11 am


Cooch Behar News : গ্রামে এসেছিলেন ‘দিদির দূত’ (Didr Doot) হয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচি পালনে। সেই সূত্রেই চলে আসেন স্কুলের সামনে। ভেবেছিলেন ‘দিদির দূত’ (Didr Doot) হয়ে স্কুলে এসে ছাত্র ছাত্রী থেকে অভিভাবক ও স্কুল শিক্ষকদের কাছ থেকে জেনে নেবেন স্কুলের হাল, সুবিধা অসুবিধার কথা। কিন্তু স্কুলের সামনে এসেই যা দেখলেন, তাতে রেগে লাল হয়ে গেলেন দিদির দূত তথা প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় (Partha Pratim Roy)। সকাল ১১টার সময় স্কুলের সামনে এসে দেখেন স্কুলের গেটে তখনও ঝুলছে তালা। ছাত্রছাত্রীরা দাঁড়িয়ে আছে বাইরে। এই অবস্থায় স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়েই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন প্রাক্তন সাংসদ। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার দিনহাটা-১ (Dinhata) ব্লকের পুটিমারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বসগিরধাম এ পি স্কুলে।

স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়েই পার্থপ্রতিম (Partha Pratim Roy) ফোন করেন স্কুল পরিদর্শককে। তারপর কেন শিক্ষকরা দেরিতে স্কুলে আসছেন সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার আবেদন জানান। পাশাপাশি দেরিতে আসা শিক্ষকদের শোকজ করার কথাও বলেন তিনি। যদিও দিদির দূত আসার খবর পেয়েই কিছুক্ষণের মধ্যে স্কুলে চলে আসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, “ঘটনাচক্রে আজকেই স্কুলের কাজে আমি BDO অফিসে গিয়েছিলাম। তাই আমার দেরি হয়েছে। বাকি শিক্ষকরা এখনও কেন আসেননি তা জানিনা। এই বিষয়ে আমি তাঁদের প্রশ্ন করব”। প্রতিদিনই স্কুল এরকম দেরি করে খোলা হয় কিনা সেই প্রশ্ন করলে তা মানতে চাননি প্রধান শিক্ষক। এই বিষয়ে দিদির দূত পার্থপ্রতিম বলেন, “প্রত্যেক স্কুলে ১১টার সময় ক্লাস শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। আর সেখানে এই স্কুলে সেই সময় গেটে তালা ঝুলছে। এসব মেনে নেওয়া হবে না। আমি স্কুল পরিদর্শককে যা বলার বলেছি। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছি”।

Didir Doot : ‘ফিরিয়ে দিন বৌমাকে!’ শাশুড়ির আর্জি শুনে হতবাক ‘দিদির দূত’ জ্যোতিপ্রিয়

প্রসঙ্গত, পরিকাঠামোগত অভাব রয়েছে অনেক স্কুলেই। দিদির দূত হয়ে এলাকায় গিয়ে সেসব তথ্য জানতে পারছেন জন প্রতিনিধিরা। এদিন যেমন পার্থপ্রতিম জানতে পারেন স্কুলে পড়ুয়াদের বসার জায়গা ঠিকঠাক নেই। স্কুলে ৪৫৭ জন পড়ুয়া রয়েছে। একটি পুরনো ভবন ভেঙে ফেলায় শ্রেণিকক্ষের সমস্যা রয়েছে। ঠাসাঠাসি করে পড়ুয়াদের বসতে হচ্ছে। পৃথক বিভাগ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পড়াশোনায় অসুবিধা হচ্ছে। দিদির দূত এই বিষয়ে জানান, “স্কুলের পরিকাঠামগত সব সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে জানানো হচ্ছে”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *