জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তি IDBI Bank-র শেক্সপিয়র সরণী শাখায় ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে গুজরাটের আহমেদাবাদে থাকেন। প্রসূন ও অপর্ণার দুই কন্যা সন্তান আহমেদাবাদের স্কুলে পড়াশুনো করে। নিহত ব্যাঙ্ককর্তাও গুজরাটে থাকতেন। ১০ মাস আগে কলকাতায় তাঁকে বদলি করা হয়। ইতিমধ্যেই নিহত ব্যাঙ্ককর্তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় গরফা থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। এই ঘটনায় ব্যাঙ্ককর্তার আবাসনের বাসিন্দারাও হতবাক হয়ে গিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিনের মতোই রাতে স্ত্রীয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলছিলেন প্রসূন। সেই সময় তাদের মধ্যে বচসা হয়। তখনই স্ত্রীকে আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকেন ওই ব্যাঙ্ককর্তা। মৃতের স্ত্রী অপর্ণা পুলিশকে জানিয়েছেন, বচসা চলাকালীন তাঁকে হোয়াট্সঅ্যাপে একটি সুইসাইড নোটও পাঠান ওই ব্যাঙ্ককর্তা। ভিডিয়ো কল চলাকালীনই ড্রয়িং রুমের সিলিং থেকে গলায় দড়িয়ে লাগে আত্মঘাতী হন প্রসূন। ওই ব্যাঙ্ক কর্তার ফ্ল্যাট থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আত্মঘাতী ব্যাঙ্ককর্তার স্ত্রীর দাবি, কলকাতায় যাওয়ার পর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রসূন। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি মৃতের স্ত্রীর। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরেই স্ত্রীয়ের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য চলছিল। রবিবার গভীর রাতে সেই বচসা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। তখনই সেই চাপ সামলাতে না পেরে আত্মঘাতী হন ওই ব্যাঙ্ককর্তা। যদিও যাবতীয় অভিযোগ ও দাবি খতিয়ে দেখছেন গরফা থানার পুলিশ আধিকারিকরা।