এদিন এই কর্মশালায় জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়, জুনিয়র হাই স্কুল, প্রাথমিক এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের ডাকা হয়েছিল। এই কর্মশালাতে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার একাধিক আধিকারিক এবং জলপাইগুড়ি দমকল (Fire Brigade) কেন্দ্রের আধিকারিকরা। তাঁরা হাতে কলমে এবং আগুন লাগলে প্রাথমিক কাজ কি হবে, সেই সম্পর্কে প্রশিক্ষন দেন। পুরসভার বক্তব্য সমস্ত স্কুলে মিড ডে মিলের (Mid day Meal) রান্না হচ্ছে। সেখান থেকে আগুন লাগতেই পারে। আবার শর্ট সার্কিট থেকেও লাগতে পারে। যে কারণে প্রায় সমস্ত স্কুলেই ফায়ার এক্সটিংগুইশার (Fire Extinguishers) দেওয়া হয়েছে। শেষ হয়ে গেলে আবার পুরসভা সেগুলিকে রিফিল করে দেয়।
এদিন সৈকত চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “কেবল ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলেই হবে না। তার ব্যবহার জানতে হবে। তাই পুরসভা উদ্যোগ নিয়ে দমকল (Fire Brigade) কর্তৃপক্ষের সাহায্যে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছে। প্রয়োজনে সমস্ত স্কুলে আবার প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে।” ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষার দিকে তাকিয়েই যে এই ধরনের উদ্যোগ বারবার নেওয়া হবে, তা জানান তিনি।
এদিকে যে সমস্ত স্কুল এই কর্মশালাতে অনুপস্থিত ছিল, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সৈকত বাবু বলেন, “আগুন ধরলে কি করতে হবে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষনের দরকার ছিল। কিন্তু যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের প্রতি বার্তা দেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে এইরকম কর্মশালার উদ্যোগ আবার নেওয়া হবে। তাতে সবাই কে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামুলক করা হবে যারা আজ অনুপস্থিত ছিলেন।” তবে আজ ৯০ শতাংশ স্কুল উপস্থিত ছিল বলে জানান তিনি।