প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ডেমু শেড এলাকার কাজ করার সময় রেল কর্মীরা প্রথমে সেখানে ঝোপঝাড়ের মধ্যে চিতাবাঘটিকে দেখতে পান। এরপরই একজন মোবাইলে সেই ভিডিয়ো করেন। ভিডিয়ো দেখে বনকর্মীরা এলাকায় খাঁচা পাতেন। সেই খাঁচাতে খাবারের টোপেই ধরা পড়ে চিতাবাঘটি। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এলাকায় দুটি চিতাবাঘ রয়েছে। অপর চিতাবাঘ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বনদফতরের কর্মীরা। তাঁদের কথায়, “যদি এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকে সেক্ষেত্রে খাঁচা পাতা হতে পারে।”
এদিন স্থানীয় বাসিন্দা অনিল মাহাতো জানান, কয়েকদিন ধরে চিতাবাঘের আতঙ্কে ছিলাম। সন্ধ্যার পর অনেকেই ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতেন না। অবশেষে চিতাবাঘটি ধরা পড়ল। তবে শহরের মধ্যে কীভাবে চিতাবাঘ এল তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় বনকর্মীরা। কিছুদিন আগে শিবমন্দির এলাকাতেও একটি চিতাবাঘ দেখা যায়। যদিও সেখান থেকে কোনও চিতাবাঘ ধরা পড়েনি এবং স্থানীয় এলাকা থেকেও কোনও চিতাবাঘ উদ্ধার হয়নি।
এলাকায় আর নতুন করে কোনও বাঘ দেখা যায়নি বলেই এলাকাবাসীর দাবি। যদিও একটি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি এলাকাবাসী। তাঁদের কথায়, “এই চিতাবাঘের ভয়ে কিছুদিন ডেমু শেডে কাজ পর্যন্ত ব্যাহত হয়েছিল। কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছিল। অবশেষে তা ধরা পড়ায় আমরা খুশি।”