Leopard: লুকোচুরির খেলা শেষ! খাবারের লোভেই খাঁচাবন্দি শিলিগুড়ি জংশনের সেই চিতাবাঘ – one leopard caught in siliguri junction by forest department workers


শিলিগুড়ি জংশন (Siliguri Junction) এলাকায় ধরা পড়ল চিতাবাঘ (Leopard)। বেশকিছু ধরেই এলাকায় একটি চিতাবাঘের উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন বাসিন্দারা। অবশেষে বন দফতরের খাঁচায় চিতাবাঘটি ধরা পড়েছে। সোমবার সকালে চিতাবাঘটি ধরা পড়ে। কিছুদিন আগে শিলিগুড়ি জংশনে ডেমু শেডের কাছে একটি চিতাবাঘ দেখতে পান রেল কর্মীরা। এরপর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। চিতাবাঘের খোঁজে তল্লাশিতে নামে বন দফতরের কর্মীরা। শারুগারা রেঞ্জ ও ডাবগ্রাম রেঞ্জের বন কর্মীরা সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালালেও চিতাবাঘটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও কয়েকদিন ধরে এলাকায় চিতাবাঘ রয়েছে তা বুঝতে পারছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যেকারণে সন্ধ্যার পর অনেকেই ডেমু শেড এলাকার আশপাশে যেতেন না। সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন বন দফতরের তরফে বসানো একটি খাঁচায় চিতাবাঘটি ধরা পড়েছে। তড়িঘড়ি বনকর্মীরা গিয়ে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আপাতত চিতাবাঘটিকে পর্যবেক্ষণে রেখে তাকে জঙ্গলে ছাড়ার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাকে নিয়ে যাওয়া হবে বেঙ্গল সাফারি পার্কে।

ঝাড়গ্রাম মিনি জু থেকে পলাতক চিতাবাঘ, তীব্র আতঙ্ক
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ডেমু শেড এলাকার কাজ করার সময় রেল কর্মীরা প্রথমে সেখানে ঝোপঝাড়ের মধ্যে চিতাবাঘটিকে দেখতে পান। এরপরই একজন মোবাইলে সেই ভিডিয়ো করেন। ভিডিয়ো দেখে বনকর্মীরা এলাকায় খাঁচা পাতেন। সেই খাঁচাতে খাবারের টোপেই ধরা পড়ে চিতাবাঘটি। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এলাকায় দুটি চিতাবাঘ রয়েছে। অপর চিতাবাঘ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বনদফতরের কর্মীরা। তাঁদের কথায়, “যদি এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকে সেক্ষেত্রে খাঁচা পাতা হতে পারে।”

Leopard In Siliguri : শিলিগুড়ি স্টেশনে চিতাবাঘ! আতঙ্কে কাজ বন্ধ রেলকর্মীদের
এদিন স্থানীয় বাসিন্দা অনিল মাহাতো জানান, কয়েকদিন ধরে চিতাবাঘের আতঙ্কে ছিলাম। সন্ধ্যার পর অনেকেই ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতেন না। অবশেষে চিতাবাঘটি ধরা পড়ল। তবে শহরের মধ্যে কীভাবে চিতাবাঘ এল তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় বনকর্মীরা। কিছুদিন আগে শিবমন্দির এলাকাতেও একটি চিতাবাঘ দেখা যায়। যদিও সেখান থেকে কোনও চিতাবাঘ ধরা পড়েনি এবং স্থানীয় এলাকা থেকেও কোনও চিতাবাঘ উদ্ধার হয়নি।
এলাকায় আর নতুন করে কোনও বাঘ দেখা যায়নি বলেই এলাকাবাসীর দাবি। যদিও একটি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি এলাকাবাসী। তাঁদের কথায়, “এই চিতাবাঘের ভয়ে কিছুদিন ডেমু শেডে কাজ পর্যন্ত ব্যাহত হয়েছিল। কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছিল। অবশেষে তা ধরা পড়ায় আমরা খুশি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *