উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) দুর্নীতি নিয়ে সারা রাজ্য জুড়ে চলছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের (Central Delegates) পক্ষ থেকে বিশেষ তদন্ত। যারা তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করছেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। একইভাবে এদিন নদিয়া (Nadia) জেলার শান্তিপুরের (Shantipur) হরিপুর অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে বিশেষ তদন্তে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। যদিও প্রথমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে পৌঁছন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এরপর প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই বেশ কিছু তদন্ত নিয়ে কথাবার্তা বলেন পঞ্চায়েত প্রধান শোভা সরকারের সঙ্গে।
শুধু প্রধানমন্ত্রী আবাস নয় প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা সহ বেশ কিছু প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রীতিমতো তদন্ত চালিয়ে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শান্তিপুরের তিনটি অঞ্চলে বিশেষ তদন্ত চালাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চল বাদ দিলে শান্তিপুর বাবলা অঞ্চল এবং আরবান্দী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতেও বিশেষ তদন্ত শুরু করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। যদিও এদিন হরিপুর পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আসা নিয়ে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল যথেষ্ট। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এদিন হরিপুর অঞ্চলে বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেন, সেই সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সব সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন। গ্রামবাসীদের থেকে বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেন তাঁরা।
এখন দেখার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) নিয়ে রাজ্যে একের পর এক যেভাবে দুর্নীতি উঠে আসছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের হস্তক্ষেপে কতটা সুরাহা হয় মানুষের। নাকি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতিকে সামনে রেখে আগামী লোকসভা ভোটে তা হাতিয়ার করতে চলেছে বিরোধীরা। রাজ্যজুড়ে বারংবার কেন্দ্রীয় দলের আসাকে বেশ কিছুদিন থেকে রীতিমতো কটাক্ষ করছেন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা। তাঁদের মতে, রাজ্যে যথেষ্ট উন্নয়ন হলেও গোটা দেশের সামনে রাজ্যের বদনাম করতেই BJP এই কৌশলের রাস্তা নিয়েছে। এই মুহূর্তে বঙ্গ BJP-র অভিযোগ ও চিঠি পাঠানোর পর রাজ্যে আবাস যোজনায় কাজ খতিয়ে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রের একাধিক প্রতিনিধি দল। এছাড়া মিড মে মিলের পর্যালোচনা, জব কার্ড ও ১০০ দিনের কাজও খতিয়ে দেখতেও রাজ্যে এসেছে প্রতিনিধি দল।