জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মালদায় সরকারি সফরে এসে জেলার দুই মহিলার মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের পাওনা টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। আর তাঁর বক্তব্য়ের মধ্যে আচমকাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেনে আনেন উকুন প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন-বাইশ গজে ফের আগুনে আকাশ! ১৭৩ রানে গুটিয়ে ঝলসে গেল ঝাড়খণ্ড
মমতা বলেন রাজ্যে যা কাজ রয়েছে তাতে এখন আর বাইরে গিয়ে কাজ করতে হয় না। মার্চ মাস পর্যন্ত ফাইনান্সিয়াল ইয়ার। তার পরেও আপনারা শুনলে খুশি হবেন, লক্ষ্ণীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশী, কত প্রকল্প। এতকিছু করেও আমরা প্রায় ১০ কোটি জবকার্ড হোল্ডারদের কাজ দিয়েছি। এই টাকা দিল্লি দয়া করে দেয় না। যে দিল্লির নেতারা ভোটের সময় কুত্সা করে তাদের জিজ্ঞাসা করুন, টাকাতো রাজ্য থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার রাজ্যের টাকা আমি তুলতে পারি না। কেন্দ্র টাকা তোলে আর তা থেকে কিছু টাকা আমরা পাই। ওই টাকা নিয়ে এখন রাজনীতি হচ্ছে। আমাদের টাকা আমাদের দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার মাঝেই আচমকা উকুন প্রসঙ্গ টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাথায় উকুন হলে উকুনটা মেরে দিতে হয়। এখন আর উকুন হয় না। খুব কম হয়। বাড়িতে যদি ছারপোকা থাকে তা হলে ছারপোকা মেরে দিতে হয়। কিন্তু আমরা এখানে মানুষের মৃত্যুর কথা বলছি না। আমরা এখানে বলছি, যারা মিথ্যে কথা বলছেন তারা দেখে যান। একদিন বাংলার প্রত্যেকটি প্রকল্পকে আপনাদের সালাম জানাতে হবে।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যখন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল তখন আমি কিছু বলিনি। আদালতে মামলা চলছে। আশাকরি ভালো বিচার হবে। সাময়িকভাবে কেউ কেউ কাউকে ভুল বুঝতেই পারেন। কিন্তু কেউ অন্যায় করলে তার দায়িত্ব আমরা নেব না। কিন্তু মনে রাখবেন পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করা হয়েছিল। পুরুলিয়ার চাকরির কোটা কেউ কেউ নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন। তা কিসের বিনিময়ে, নাইবা বললাম। আমি বলেছিলাম, পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েরা কেন বঞ্চিত হবে? ওরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছিল। পরে আমি কোটা বাড়িয়ে ওদের কাজের ব্যবস্থা করে দিলাম।।
রাজ্যে সেল্ফ হেল্ফ গ্রুপদের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, সেল্ফ হেল্ফ গ্রুপগুলিকে সাহায্য করুন। পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রামসভা বা পুরসভাই হোন না কেন ওদের দিয়ে কাজ করান। স্কুলের জামা আমরা বাইরে থেকে নিয়ে আসতাম। এখন সেল্ফ হেল্ফ গ্রুপ সেসব করে।
বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, আপনার ঘরে কী রান্না হবে তা দাদুভাইরা বলে দেবেন। আপনি কী পরবেন তা দাদাভাইরা বলে দেবেন। পয়সা দেওয়ার ক্ষমতা নেই কিল মারার গোঁসাই! সব জায়গায় ছবি বিলিয়ে বেড়াচ্ছে। শ্মশানে গেলে ছবি, স্নান করতে গেলেও ছবি। দেখবেন চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা ধরে ভাষণ দিচ্ছে আর তা শুনতে হচ্ছে। কেন শুনব? মিডিয়াকে অপব্য়বহার করা হয়েছে। উল্টে এরা বলে এরা সব চোর। আমরা যদি চোর হই তোমরা তাহলে ডাকাত।