পঞ্চায়েত অফিসের (Panchayat Office) সামনে থেকেই এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় দলকে প্রকল্প পরিদর্শনের দাবি ছিল তাঁদের। তবে বিজেপির তোলা স্বজনপোষণের অভিযোগ খারিজ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ‘আমরা খারাপ হলে, কিছুই করতে পারত না’, বলে পালটা দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “সম্মানীয় বিরোধী দলনেতা বলছেন তাঁর কথায় এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের দল এসেছেন। মানে কেন্দ্রীয় সরকার এখন নরেন্দ্র মোদী চালান না, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা চালান। অতএব তাঁর কথায় যে প্রতিনিধি দল এসেছে, তাঁর কথাতেই কিছু লোক বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সারা বাংলা ঘুরে কোনও অনিয়ম দেখতে পাচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবেই যেহেতু অনিয়ম ধরা পড়ছে না এরা উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে এবং উদভ্রান্তের মতো আচরণ করছে।”
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। একাধিক চাপানউতোর দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ বেশ কিছু প্রকল্পের বিশেষ তদন্তে বেরিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। প্রসঙ্গত, সোমবার নদিয়ার শান্তিপুরের (Shantipur) হরিপুর অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে বিশেষ তদন্তে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। প্রথমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে পৌঁছান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এরপর প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই তদন্ত নিয়ে কথাবার্তা বলেন পঞ্চায়েত প্রধান শোভা সরকারের সঙ্গে।