মঙ্গলবার দুপুরে মালদার গাজোলে মুখ্যমন্ত্রী সভা মঞ্চে থাকাকালীন চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Chanchal Super Speciality Hospital) বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখেন। মহিলা-পুরুষ সহ নবজাতকের বিভাগ পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সহকারি সুপারদের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মহিলা-পুরুষ বিভাগ সহ নবজাতক বিভাগ ঘুরে দেখেন তিনি। হাসপাতালের অক্সিজেনের জোগান, এসডিইউ, সার্জারি রুমের পরিকাঠামোর খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেন আধিকারিকেরা।
স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মাঝে-মধ্যেই অভিযোগ উঠে হাসপাতালের শৌচালয়ের বেহাল দশা নিয়ে। সেই নিয়েই কী উদ্বেগ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি ওই হাসপাতালে ইউএসজি (USG), সিটি স্ক্যান (CT SCAN) সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিক্ষামূলক যন্ত্রণাংশ থাকলেও মেডিক্যাল টেকনেশিয়ানের অভাবে সেগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। যার ফলে পকেট টান পড়ছে রোগীর পরিবারের সদস্যদের।
তবে হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্বাস্থ্য ভবনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক তথা IAS কৌশিক ভট্টাচার্য্য বলেন, “হাসপাতালের অধিকাংশ পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খানিকটা দুর্বলতা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।” পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসকরা যাতে বেশি সময় ধরে ব্যয় করেন সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ইসিজি পরিষেবা থাকলেও ইউএসজি এবং সিটি স্ক্যান পরিষেবা যাতে চালু হয়, সেগুলির জন্য মেডিক্যাল টেকনেশিয়ান আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মূলত চাঁচল মহকুমার ছয়টি ব্লকের এই চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল (Chanchal Super Speciality Hospital) একমাত্র ভরসা।
এই এলাকার মানুষ অধিকাংশই কৃষিজীবী। মালদা জেলার পাশাপাশি নিকটবর্তী জেলা থেকেই প্রতিনিয়ত মানুষ এই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে নির্ভরশীল। এর আগেও স্বাস্থ্য পরিষেবার বিচ্যুতি ঘটায় একাধিক চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। সরকারি পরিষেবা মানুষ সহজে পায়, সে ব্যাপারে যথা সম্ভব ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা।