স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন বিকেল চারটে নাগাদ এখানে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। যে পাঁচতলা বাড়িটিতে আগুন লেগেছিল সেই বাড়ির দোতলায় জুতোর কারখানাটি ছিল। আগুন লাগার সময় বাড়ির তিনজন বাসিন্দা আটকে পড়েছিলেন। তাদের অক্ষত অবস্থায় বাইরে বের করে আনতে পেরেছে দমকল। দমকলের পাশাপাশি CESC ও কলকাতা পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ার জন্য আশেপাশে বাড়িগুলিও খালি করে দেওয়া হয়েছে। তবে দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এক দমকল আধিকারিক বলেন, ‘আমরা আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। পাঁচতলা বাড়ির দোতলায় জুতোর কারখানা ছিল। বাকি অংশে লোকজন বসবাস করতেন। বাড়ির বাসিন্দা সকলকেই আমরা নীচে নামিয়ে নিয়ে এসেছি। এখন আগুন সম্পূর্ণ নেভানোপর কাজ চলছে। এত বড় ঘিঞ্জি এলাকা, সেই কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে খানিক সময় লাগবে।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছছেন স্থানীয় কাউন্সিলর ফৈয়াজ আহমদে খান। তিনি বলেন, ‘সারা কলকাতার একটা বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে ঘিঞ্জি এলাকা। আমরা কলকাতার পুরসভার তরফে মেয়র ববি হাকিমের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী সমস্যার সমাধান করা হবে। কারখানা মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার মনে হয়না এই বাড়িতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল। দমকল আরও ভালোভাবে এই বিষয় বলতে পারবে। কোনও গাফলতি থাকলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’