৩ বোনের মধ্যে বড় মুক্তা। কালনা কলেজে (Kalna College) কলা বিভাগে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। বাবা মাধব বসাক তাঁতের কাজ করেন। বড় মেয়ে যে আর নেই তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না মা মিনতি বসাক। বলেন, “রাতে সবার সঙ্গে খেয়ে সাড়ে ন’টা নাগাদ শুতে গেল। মুক্তার সঙ্গে আমার ছোট মেয়েও শুয়েছিল খাটে। মেয়ে হেডফোন লাগিয়ে রাত পর্যন্ত গান শুনে ঘুমোত।” এদিন সকালে উঠে মিনতি দেখেন, মুক্তার কানে হেডফোন লাগানো রয়েছে। কিন্তু মেয়ে উঠছে না দেখে তিনি ডাকাডাকি শুরু করেন।
বলেন, “সাড়াশব্দ পাচ্ছি না বলে গায়ে হাত দিতেই দেখি, ঠান্ডা।” বাবা মাধব বসাক জানিয়েছেন, মেয়ের কোনও অসুস্থতা ছিল না। কালনা মহকুমা হাসপাতালের (Kalna Sub-Divisional Hospital) সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি বলেন, “প্রথমে ঠিক হয়েছিল ৪ সদস্যর টিম গঠন করে এখানেই ময়না-তদন্ত করা হবে। কিন্তু এখানে কোনও বিশেষজ্ঞ না থাকার কারণে শেষে বর্ধমানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই।”