এবারে এই পুজো ৪৪ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। বাংলার দুর্গতিনাশের জন্য যেমন প্রতিবছর বসন্তকালে দেবী দুর্গার পুজো হয়, তেমনি এই কুরিট সহ আশপাশের এলাকারও সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে আমতার কুরিট এলাকার ১৮ হাতধারী দেবী দুর্গার পুজো। জানা গিয়েছে, আমতার কুরিট, বড়মোহরা, কোটালপাড়া, বলাই মাঝি, বলরামপুর গ্রাম মূলত কৃষি প্রধান গ্রাম। লোকশ্রুতি আছে প্রাকৃতিক বিরূপতায় এখানকার বাসিন্দারা নাজেহাল হয়ে যাচ্ছিলেন। চাষে ক্ষতির পর ক্ষতির মুখে পড়ে এলাকার মানুষদের নাভিশ্বাস উঠছিল। এই প্রাকৃতিক বিরূপতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গ্রামের অন্যতম প্রবীন মানুষ উত্তম কুমার কোলে বলেন, “সেই সময় আমরা তান্ত্রিক বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি চন্ডী ঘেঁটে দেখেন কাত্যায়ন ঋষি বহু আগে খরা বন্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য অষ্টাদশ ভূজা মহালক্ষ্মী কাত্যায়নী দুর্গাপুজো করেছিলেন। সেইমত তাঁর নির্দেশে কুরিট এলাকার শ্মশানে ১৯৭৯ সাল থেকে এই পুজো শুরু হয়।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার মতনই যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান মেনে পুজো হয়। দেবীর সঙ্গে লক্ষ্মী সরস্বতী কার্তিক গণেশ থাকলেও মহিষাসুর থাকে না। এখানে ঋষি কাত্যায়নের মূর্তি থাকে। তিনিও পূজিত হন। পুজো কমিটির বর্তমান সভাপতি লক্ষীকান্ত কোলে জানান, “এই অষ্টাদশ ভূজা মহালক্ষী কাত্যায়নী দুর্গাপুজোর দিকে আমরা সারা বছর তাকিয়ে থাকি। এলাকার বাসিন্দারা যারা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তারাও ছুটি নিয়ে এই সময় বাড়িতে চলে আসেন। সব মিলিয়ে এই পুজোর সময় এলাকায় থাকে সাজ সাজ রব।”