জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) মন্তব্যের জের। চাকরি খোয়ালেন লখনউয়ের (Lukhnow) ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা স্টেডিয়ামের (Bharat Ratna Shri Atal Bihari Vajpayee Ekana Cricket Stadium) মুখ্য কিউরেটর। শোনা যাচ্ছে সেই মাঠের কিউরেটর সুরেন্দর কুমারকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। গোয়ালিয়রের মাঠের দায়িত্বে থাকা সঞ্জীব আগরওয়ালকে একানা স্টেডিয়ামের কিউরেটর হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি মাত্র ১০০ রান চেজ করতে গিয়ে ভারতীয় দলের ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়ে যায়। তবে এরপর কিউরেটরের দিকে আঙুল তোলেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অধিনায়ক। শুধু হার্দিক নন। লখনউ স্টেডিয়ামের পিচকে ‘সাবস্টান্ডার্ড’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)।
লখনউয়ের পিচে প্রথম থেকেই দারুণ বোলিং করেছিল ভারতীয়রা। চতুর্থ ওভারেই ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে দেন দলে ফেরা যুজবেন্দ্র চাহাল। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার নজির গড়লেন তিনি। টপকে গেলেন ভুবনেশ্বর কুমারকে। এরপর নিউজিল্যান্ডের কোনও ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। একের পর এক ব্যাটার এসেছেন এবং সাজঘরে ফিরেছেন। সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। ২৩ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি। ৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন অর্শদীপ সিং। একটি করে উইকেট হার্দিক, ওয়াশিংটন সুন্দর, চাহাল, দীপক হুডা এবং কুলদীপ যাদব।
তবে মাত্র ১০০ রান চেজ করতে নেমে ভারতীয় ব্যাটারদের একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়েছিল। দুই ওপেনার শুভমন গিল ও ঈশান কিশান ফের একবার ভালো শুরু করেও, বিপক্ষকে চাপে রাখতে পারলেন না। শুভমন (১১) মিচেল ব্রেসওয়েলের বলে। আর খারাপ ফর্মের মধ্য দিয়ে চলতে থাকা ঈশান তো রান আউট হয়ে উইকেট দিয়ে এলেন। ভারত তখন ৪৬ রানে ২। পৃথ্বী শাহ-কে এবারও সুযোগ দেওয়া হল না। তবে রাহুল ত্রিপাঠি (১৩) সুযোগ পেলেও, ফের একবার সেই সুযোগ হেলায় হারালেন। রাহুল যখন ফিরে যান, তখন ভারতের স্কোর ৫০ রানে ৩ উইকেট। এরপর ডাগ আউটের দিকে হাঁটা লাগালেন গত ম্যাচে অর্ধ শতরান করা ওয়াসিংটন সুন্দর। তবে শেষ পর্যন্ত কিউইরা আর পারেনি। কারণ তাঁদের ঝুলিতে যে রান বড্ড কম ছিল। তাই সূর্য ও হার্দিক ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন।
কেন লখনউয়ের পিচের এহেন দশা? সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর না পেলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ম্যাচের জন্য কালো মাটি দিয়ে দু’টি পিচ তৈরি করেছিলেন সুরেন্দর। কিন্তু রাঁচির মাঠে প্রথম ম্যাচ হারের পরে উইকেট নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয় ভারতীয় দলের তরফে। একেবারে শেষ মুহূর্তে লাল মাটির পিচ দাবি করেন হার্দিকরা। অল্প সময়ের মধ্যে এই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে চেষ্টা করেন সুরেন্দর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উলটো ফল হয়, পিচের গতি একেবারে কমে যায়। ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে দুই দলই। শাস্তির কোপ পড়ল কিউরেটরের উপর।