Recruitment Scam: তৃতীয়বারের জন্য রাজ্য ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক দলীয় নেতার গ্রেফতারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কাছে প্রধান অস্বস্তির কারণে হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় চাকরি প্রার্থীদের অবস্থা, বিরোধী দলগুলির একের পর এক আক্রমণ সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েছে। একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতও CBI, ED-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির উপর তদন্তভার ছেড়েছে। এমনকী একাধিকবার রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে আদালত। এইদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদার প্রশাসনিক জনসভা থেকে নাম না করে দলের গুটকয়েক প্রাক্তন নেতার উপর নিয়োগ দুর্নীতির দায় চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি একদিনকে খুশি কয়েকটা ডাকাত-গদ্দার আমার দল থেকে বিদায় নিয়েছে। এরাই নিয়োগে বেনিয়ম করেছে। পুরুলিয়া জেলার কোটা কেটে দেওয়া হয়েছিল। পুরুলিয়ার কোনও ছেলে মেয়ে চাকরি পাচ্ছিল না। মাননীয় আদালতকে দু’পায়ে প্রণাম করে বলব এটা একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন। অন্যরা দোষ করলেও শাস্তি পাবে। কিন্তু, একজন বিশারদের মতো বলছে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা না দিতে। যেন নিজের পকেট থেকে টাকা দিচ্ছেন।’
West Bengal Government : কর্মসংস্থানে রাজ্যের নজর এমএসএমই’তে
রাজ্যের থেকে টাকা তুলে নিয়ে রাজ্যর বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এই নিয়ে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, ‘মাছের তেলে মাছ ভাজা হচ্ছে।’ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল আমি কোনওদিন কিছু বলিনি। কারণ এই নিয়ে আমার কথা বলা শোভা পায় না। আদালতে মামলা চলছে, আশা করি ন্যায্য বিচার হবে। সাময়িকভাবে কেউ ভুল বুঝে থাকতে পারেন। কেউ দোষ করে থাকল আমরা তাঁর দায়িত্ব নেব না। চাকরির ক্ষেত্রে পুরুলিয়ার ছেলে মেয়েদের বঞ্চিত করা হয়েছিল। পুরুলিয়ার কোটা একজন নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছিল। কিসের বিনিময়ে সেটা আমি আর বলতে চাই না। পরে আমি জানতে পেরে পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করেছি।’
Mamata Banerjee : বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে চাকরি-আর্থিক সাহায্য, গাজোলে ঘোষণা মমতার
নিয়োগ দুর্নীতি ও শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে আদালতের একের পর এক রায়ে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। অনেক ক্ষেত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের একাধিক নেতাকে আদালতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও দেখা গিয়েছে। সেই নিয়ে খোদ দলনেত্রী নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে উপর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, কারও দোষ প্রমাণিত হলে দল বা প্রশাসন তাঁদের পাশে থাকবে না।