এদিন টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ”কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের (Central Team) উচিত নিজেদের মতো যেমন খুশি তেমন স্কুল বেছে হানা দেওয়া উচিত নইলে আসল ছবিটা ধরা পড়বে না। রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বাছাই করা স্কুলে মিড ডে মিল প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে নিয়ে যাচ্ছে। আগে থেকে জানানো বলে রান্নার কর্মীদের অ্যাপ্রন, গ্লাভস ও টুপি পরে দেখা যাচ্ছে। আর রান্নাঘরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যেতে হবে।” এই টুইটের সঙ্গেই তিনি একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজেরও স্ক্রিনশট দেন। যেখানে মিড-ডে-মিলের রাঁধুনীদের জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।
শুভেন্দুর এই টুইটকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ”শুভেন্দু অধিকারীর টুইট নয় এগুলো হচ্ছে হাল্লা চলেছে যুদ্ধে। এত যখন সমস্যা তখন একটা কাজ করুক ওরা, কেন্দ্রীয় দলের হাতে বরং একটা কম্পাস দিক। ক্যালকুলাসের কম্পাস। যাতে ওটা হাতে নিয়ে কম্পাসের কাঁটা যেদিকে দুলবে কেন্দ্রীয় দলও সেদিকেই যাবে। নইলে এখানে যাই হবে ওদের গায়ে জ্বালা ধরবে। ”
মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবারই রাজ্যে পা রেখেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। গতকাল থেকেই তারা বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শন করছেন। সোমবার সকালে বিকাশ ভবনে শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন, স্কুলশিক্ষা কমিশনার শুভ্র চক্রবর্তী এবং মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা তপনকুমার অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পর নিউ টাউনের সুখবৃষ্টি আবাসন সংলগ্ন বনমালীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান তারা। সেখানেস্বনির্ভর গোষ্ঠীর রাঁধুনিদের অ্যাপ্রন, গ্লাভস এবং শাওয়ার ক্যাপ পরে রান্না করতে দেখা যায়। সোনারপুর ব্লকের কালিকাপুর বাসন্তীদেবী বালিকা বিদ্যালয় এবং এপি নগর অতুলকৃষ্ণ রায় গার্লস স্কুলেও যায় প্রতিনিধি দল।