জানা গিয়েছে, এদিন সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি জানিয়েছেন, দেশের প্রথমসারির তদন্তকারী সংস্থার তরফে এই ধরনের ভুল কোনওভাবেই প্রত্যাশিত নয়। তিনি বলেন, ‘কীভাবে এই ভুল সম্ভব? একটা প্রিমিয়ার এজেন্সি কীভাবে এমন একটা বিভ্রান্ত মূলক রিপোর্ট সিল সিবিআইয়ের তুলনায় আইনজীবীর রিপোর্টে অনেক বেশি তথ্য রয়েছে। সিবিআইয়ের মতো দেশের প্রথমসারির তদন্তকারী সংস্থার থেকে এই রিপোর্ট কাম্য নয়। আদালতে কোনও কিছু পেশ করার আগে তা অবশ্যই যাচাই করে দেওয়া উচিত।’ এদিন আরও একবার তদন্তের গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, ‘কেন তদন্তে এত দেরি করছে সিবিআই? জানি না সিবিআই কেন সিবিআই এত ধীর গতিতে চলছে।’
এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্তারাও আদালতের ভর্ৎসার মুখে পড়েছেন। তাদের রীতিমতো সতর্ক করে আদালত বলে ‘আপনার কেন এখনও চুপ করে আছেন? আপনার তৎপর নন, সক্রিয় নেন। কেন এখনও অযোগ্যদের বরখাস্ত করে যোগ্যদের চাকরি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়নি? যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। কোর্ট এসএসসিকে নিজের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দিচ্ছে। তারপরেও নিজের ক্ষমতা কেন কাজে লাগানো হচ্ছে না। এএসএসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করুন। এসএসসিকে পদক্ষেপ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সম্প্রতি আরও একবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল সিবিআই। ঘুষ দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাদেরও তিরস্কার করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সিবিআইয়ের ভূমিকা অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি বসু বলেছিলেন, ‘কাকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন সেই তথ্য সিবিআইকে জানতেই হবে। প্রয়োজনে যাঁরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে।’