TMC Group Conflict : ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ডাক না পাওয়ায় ক্ষোভ, বাঁকুড়ায় প্রকাশ্যে শাসকদলের কোন্দল – trinamool congress group conflict shown at bankura district


West Bengal News : একটা সময় শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে সংবাদ শিরোনামে থাকত বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর (Kotulpur) এলাকা। এবার সেই কোতুলপুরের (Kotulpur) সিহড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রকাশ্যে এল শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচিতে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ তুলে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব হলেন ওই এলাকার তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা পণ্ডিত, সিহড় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সন্ধ্যা সাঁতরারা।

Didir Suraksha Kawach : ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে বিক্ষোভ, অভিযোগ শুনতে হল পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ককে
তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা পণ্ডিত দাবি করে বলেন, “সিহড় অঞ্চলে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ‘ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচিতে আমাদের ডাকা হয়নি। একটা বড় অংশের দলীয় কর্মী সমর্থককে বাদ দিয়ে কোতুলপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তরুণ নন্দীগ্রামী ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী সঙ্গীতা মালিকরা নিজেদের মতন করে দল চালাচ্ছেন, এমনকি নাম কা ওয়াস্তে ওই কর্মসূচী সেরে তাঁরা ফিরে গিয়েছেন।”

TMC : দোতলা তিনতলা বাড়ির মালিককে আবাসের বাড়ি! বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেতার
তাঁদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে কোতুলপুরের আটটি পঞ্চায়েতই বিরোধীদের হাতে চলে যাবে। তাই অবিলম্বে দলীয় স্বার্থে তরুণ নন্দীগ্রামী ও সঙ্গীতা মালিককে তাঁদের পদ থেকে সরানোর দাবি জানান তিনি। সিহড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্ধ্যা সাঁতরাও দলীয় নেতৃত্বের উপর তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। প্রবীণ এই তৃণমূল নেত্রী বলেন, “দলীয় কর্মসূচীতে আমাদের কাউকে ডাকা হয়নি। তবুও তাঁরা নিজেরাই ওই কর্মসূচী করেছেন। অবিলম্বে তরুণ নন্দীগ্রামী, সঙ্গীতা মালিকদের দলীয় পদ থেকে না সরালে দলের জেলা নেতৃত্বকে ‘বিক্ষোভের মুখে’ পড়তে হবে।” এদিকে কোতুলপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তরুণ নন্দীগ্রামী বলেন, “যেখানেই যা কর্মসূচী হোক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের জানানো হয়। যে যাই বলুন কয়েকশো কর্মী সমর্থককে নিয়ে সিহড় অঞ্চলে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচী আমরা পালন করেছি।”

Didir Doot : ‘ফিরিয়ে দিন বৌমাকে!’ শাশুড়ির আর্জি শুনে হতবাক ‘দিদির দূত’ জ্যোতিপ্রিয়
কোতুলপুর ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি প্রবীর গড়াই অবশ্য বর্তমান সভাপতি তরুণ নন্দীগ্রামীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, “ওই জেলা পরিষদ সদস্যা ‘বড় পদের আশা’য় এসব কথা বলে দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের নজরে আসতে চাইছেন। এমনকি সিহড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রবীণ নেত্রী সন্ধ্যা সাঁতরাকে ‘ভুল বুঝিয়ে কথা বলানো হয়েছে।” যদিও এই ঘটনায় শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়েনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল BJP। স্থানীয় BJP নেতা শিবদাস ঘোষ এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “কাটমানি সর্বস্ব দল তৃণমূল। মানুষ এই ব্যাপারে সব বোঝেন। তৃণমূলের ছোট হোক বা বড় নেতা নেত্রীরা যেখানেই টাকা দেখবেন, সেখানেই ঝাঁপাবেন। আর টাকা না পেলেই শুরু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *