Uttar 24 Pargana: দুই বোনের সঙ্গেই প্রেম! টানাপোড়েনে আত্মঘাতী ভাড়াটিয়া যুবক – a young boy allegedly commit suicide over a complicated love relation with two sisters


West Bengal Local News ফের এক মর্মান্তিক মৃত্যুর কারণ ত্রিকোণ প্রেম। বিষয়টা অনেক ‘দো ফুল এক মালি’। এক বাড়ির দুই মেয়ের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক। আর সেই প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়নের বলি এক যুবক। এমনই ঘটনা ঘটেছে নৈহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরীপুর খাঁ পাড়ায়।

এক যুবকের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনুমান- ত্রিকোণ সম্পর্কের জটিলতাতেই এই পরিণতি। মৃত যুবকের নাম রতন বর্মা ( ২০)। স্থানীয় বিজয় দে-র বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। ওই যুবকের মৃত্যুতে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে বিজয় বাবুর বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়াা দুই বোন রুমিকা ও রিয়া হরিজনের বিরুদ্ধে। তবে মৃত্যুর আগে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন অগ্নিদগ্ধ রতন জবানবন্দি দিয়েছেন যে, তিনি নিজেই গায়ে আগুন লাগিয়েছে। তবে মৃতের পরিবারের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

West Bengal Trending News: ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে…’, প্রেমিকাকে না পেয়ে বিয়েতে এসে দক্ষযজ্ঞ প্রেমিকের

জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরেই রতন ও রুমিকারা বিজয় দে-র বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। দীর্ঘদিন একই বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে রুমিকার সঙ্গে রতনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । তবে স্থানীয় সূত্রে দাবি, বড় বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় থাকাকালীনই ছোট বোনের দিকেও ঝোঁকেন রতন। রুমিকার পাশাপাশি রিয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রতন।

মৃতের পরিবারের দাবি, রতনকে নিয়ে দুই বোনের মধ্যে সাংঘাতিক টানাপোড়েন চলছিল। গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে রিয়া ও রুমকির মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। তর্কাতর্কি চরম পর্যায়ে পৌঁছলে তখন রুমিকা রতনকে ফোন করে নিজেদের ঘরে ডাকে। কাজ সেরে রতন সন্ধেতে ওদের ঘরে হাজির হয়। রতনর সামনেই তাঁকে নিয়ে দুই বোনের কুৎসিৎ ঝগড়া হয় বলে দাবি। তখন রতন নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

West Bengal Local News: ‘আমার জিনিস ফিরিয়ে দাও’ বলতে বলতেই গৃহবধূকে কোপ ডিভোর্সী যুবকের!

অগ্নিদগ্ধ রতন কোনওমতে উদ্ধার করে প্রথমে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ওঁকে কল্যাণীর জে এন এম এবং পরে তাকে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু, গতকাল সকালে ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। রতনের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই বেপাত্তা দুই বোন ও তাদের পরিবার। বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাদের ঘরে ঝুলছে তালা। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন মৃতের পরিবার। দুই বোনের নামে থানায় অভিযোগও দায়ের করতে চান তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *