জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরেই রতন ও রুমিকারা বিজয় দে-র বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। দীর্ঘদিন একই বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে রুমিকার সঙ্গে রতনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । তবে স্থানীয় সূত্রে দাবি, বড় বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় থাকাকালীনই ছোট বোনের দিকেও ঝোঁকেন রতন। রুমিকার পাশাপাশি রিয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রতন।
মৃতের পরিবারের দাবি, রতনকে নিয়ে দুই বোনের মধ্যে সাংঘাতিক টানাপোড়েন চলছিল। গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে রিয়া ও রুমকির মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। তর্কাতর্কি চরম পর্যায়ে পৌঁছলে তখন রুমিকা রতনকে ফোন করে নিজেদের ঘরে ডাকে। কাজ সেরে রতন সন্ধেতে ওদের ঘরে হাজির হয়। রতনর সামনেই তাঁকে নিয়ে দুই বোনের কুৎসিৎ ঝগড়া হয় বলে দাবি। তখন রতন নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
অগ্নিদগ্ধ রতন কোনওমতে উদ্ধার করে প্রথমে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ওঁকে কল্যাণীর জে এন এম এবং পরে তাকে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু, গতকাল সকালে ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। রতনের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই বেপাত্তা দুই বোন ও তাদের পরিবার। বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাদের ঘরে ঝুলছে তালা। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন মৃতের পরিবার। দুই বোনের নামে থানায় অভিযোগও দায়ের করতে চান তাঁরা।
