ঠিক কী ঘঠেছে?
খড়গ্রামের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। বুধবার নবগ্রামে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। সেখানে ২৩ বছরের এক যুবক, যিনি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁকে লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি। কার্যত এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায় তাঁর বুক। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল রাতে তাঁকে ফোন করা হয়। কিন্তু, কোনও উত্তর মেলেনি অপর প্রান্ত থেকে। বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন তাঁদের বাড়ির ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। সল্টলেক আমরিতে চিকিৎসারত ওই তৃণমূলের যুব নেতা। জানা গিয়েছে, পিকনিক চলাকালীন মঙ্গলবার গুলিবিদ্ধ হন ওই নেতা। কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে? সেই বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে এখন ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা কেমন রয়েছে তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
পরিবার সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচার করা হবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। পরিবারের কান্নার রোল। এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ দেখছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই মুর্শিদাবাদের কেন্দুয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় নাজির হোসেন(৩৬) নামক এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়। ফরাক্কার এসডিপিও রাসপ্রীত সিং এই খবর পাওয়ার পরেই সেখানে পৌঁছন। এলাকায় বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। জানা গিয়েছে,ওই ঘটনায় দুটি গোষ্ঠীর সদস্যরাই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। এরপরেই একে অপরকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে দুই গোষ্ঠী। কোথা থেকে এল বোমা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নবগ্রামের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে এলাকায়। কে বা কারা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তা খুঁজে বার করে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ার দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেই মোতাবেক উপস্থিত সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।