তিনি বলেন, “এই বাজেট হল রাবণের বাজেট। ঠিক যেমন ভাবে রাবণ ভিক্ষুক সেজে মা সীতার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, আর মা সীতা সরল মনে বাইরে বেরিয়ে আসতেই রাবন তাঁর স্বমূর্তি ধারন করেছিলেন। এই বাজেট ঠিক তেমনই। জনগনের কাছে সহানুভূতি টানার জন্য বাজেটে এক মূর্তি দেখানো হয়েছে। আর সাধারন জনগন লক্ষণরেখা পার করলেই কেন্দ্রীয় সরকার তার আসল মূর্তি ধারন করবে”। সেই সঙ্গে তিনি এই বাজেটকে ‘রাবণের বাজেট’, ‘ছদ্মবেশী বাজেট’, ‘জনবিরোধী বাজেট’, ‘গরীব বিরোধী বাজেট’ বলেও পরপর কটাক্ষ করেন। তিনি আরও বলেন, “এটা যে টাকা দেবে না, বা যে টাকা দিতে হবে না, সেটা দেব বলার বাজেট। এই বাজেট হল ছাড়ের নামে করে মানুষকে বোকা বানিয়ে, পিছনের দরজা দিয়ে আরও চারগুণ টাকা বের করে নিয়ে চলে যাওয়ার বাজেট”।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই বাজেটকে ‘সস্তায় হাততালি পাওয়ার চেষ্টা’ বলেও বেঁধেন রাজ্য তৃণমূলের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “আসলে কোনও ছাড় (Income Tax Rebate) দেওয়া হয়নি। কর কাঠামোয় একটা চমক আছে। নতুন কর কাঠামোর কথা বলা হয়েছে। একদিকে বলছে ছাড়। অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর কথা বলা নেই। এই করের ছাড়ের (Income Tax Rebate) ফলে মানুষের লাভ নেই। হঠাৎ আলোর ঝলকানি। আসল ফল মানুষ পাবেন না”। আয়করের এই নতুন কাঠামো থেকে মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের কোনও সুবিধে হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এই বিষয়ে কুণালের মত, “মুদ্রাস্ফীতি ও আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা নিয়ন্ত্রন করার কোনও রাস্তাই এই বাজেটের মধ্যে দেখা যায়নি”। কৃষক বা শ্রমিক শ্রেণীর কথা ভেবে কিছু করা হয়নি, এই বাজেটে এই কথা বলে কুণাল কেন্দ্রীয় সরকার সমাজকে আসলে বিভাজিত করতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেন।