এদিন জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সকাল থেকে ICDS কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করছেন ব্লকের BDO থেকে শুরু করে মহকুমা শাসক পর্যন্ত। বুধবার এমনই ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল (Ghatal) মহকুমার সমস্ত স্কুলে। আজ সকাল থেকেই ঘাটাল (Ghatal) মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সহ বিভিন্ন ব্লকের BDO-রা ঘুরছেন সমস্ত ICDS কেন্দ্রগুলিতে।
এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মহকুমা শাসক বলেন, “আমাদের ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোণা এলাকাতে গতকাল মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খিচুড়ির মধ্যে একটি আরশোলা পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনা একেবারেই অবাঞ্ছিত। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সেই দিকে প্রশাসনের কড়া নজর থাকবে। আর সেই জন্যই আজকের এই বিশেষ পরিদর্শন।” বিভিন্ন স্কুল ও ICDS কেন্দ্রগুলিতে প্রশাসনের দল পরিদর্শনে গিয়ে কথা বলছেন কেন্দ্রের কর্মী থেকে শুরু করে রাঁধুনি ও পড়ুয়াদের সঙ্গেও। রান্না করার আগে খতিয়ে দেখা হচ্ছে কাঁচামালের গুণমানও। পরিদর্শন করতে আসা দলের অভিমত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে কখনও মিড ডে মিল নিয়ে সেইরকম অর্থে কোনও বড় বিতর্ক দেখা দেয়নি। গতকাল আরশোলা পাওয়ার বিষয়টি কিছুটা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির ফল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খিচুড়িতে মরা আরশোলা পাওয়া যায়। যাকে ঘিরে তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। এলাকার এক বাসিন্দা জানান, মঙ্গলবার তাঁর ছেলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খিচুড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে কৌটো খুলতেই দেখা যায় তার মধ্যে পড়ে রয়েছে আস্ত একটি আরশোলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে খিচুড়ির কৌটো নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান। এরপর কেন্দ্রের সহায়িকা ও রাঁধুনি শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিড ডে মিলের খিচুড়ি খেতে নিষেধ করে দেন। যার জেরেই আজ প্রশাসনের এমন নড়েচড়ে বসা, মনে করছেন জেলার ওয়াকিবহাল মহল।